সেন্ট লুসিয়ায় ধীরে এগুগোচ্ছে উইন্ডিজ

আগের সংবাদ

বিধ্বস্ত শহরে ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা : আদালতের নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ > অফিসপাড়া নিথর > বন্ধ হাসন রাজা মিউজিয়াম > পথে পথে ক্ষতচিহ্ন

পরের সংবাদ

এক লিটার ১৯৯ : সয়াবিন তেলের দাম কমল লিটারে ৬ টাকা

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নি¤œমুখী। ফলে দাম বাড়ার ১৭ দিন পর এবার দেশেও কমানো হলো। দেশের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা পর্যন্ত কমেছে। নতুন দাম অনুযায়ী বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৯ টাকা। অর্থাৎ তেলের দাম লিটারে কমেছে ৩ শতাংশেরও কম।
গতকাল রবিবার দাম কমানোর এ ঘোষণা দিয়েছে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা। সংগঠনের নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এন্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশেন রবিবার এ ঘোষণা দিয়েছে। আজ সোমবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
এর আগে, গতকাল সকালে তেলের দাম দুয়েকদিনের মধ্যে কমতে পারে বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই সয়াবিন তেলের দাম কমার ঘোষণা এলো। আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমেছে জানিয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেছিলেন, এ তেলটা আমাদের আসে প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে। সেখান থেকে তেল আসতে কমপক্ষে ৪৫ থেকে ৬০ দিন লেগে যায়। এখানে যে সময়ের গ্যাপ রয়েছে তাই চাইলেও দেশের বাজারে তাৎক্ষণিক দাম কমানো যায় না। এ সময়ের গ্যাপটা চিন্তা করতে হয়। তবে সুখবর হলো ইন্দোনেশিয়া থেকে এখন কিছু তেল আসে, সেখান থেকেও আসতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে আবার ডলারের দামও বেড়েছে সেটাও মাথায় রাখতে হবে। এই দুটি বিষয় সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে ১৮০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা কমিয়ে ১৯৯ টাকা ও ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ৯ জুন সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ওই সময় প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৭ টাকা বাড়িয়েছিল সরকার। মূল্যবৃদ্ধির পর সে সময় এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৮৫ টাকা। বোতলজাত এক লিটার সয়াবিনের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ২০৫ টাকা। এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় সর্বোচ্চ ৯৯৭ টাকা। এক লিটার খোলা পাম তেলের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৮ টাকায়।
এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের লিটার ছিল ১৩৪ টাকা করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তা নির্ধারণ করা হয় ১৬৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা মার্চ থেকে লিটারে আরো ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার রাজি না হলে সেদিন থেকে বাজারে সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি। এরপর সরকার ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিক্রির ওপর থেকে ভ্যাট পুরোপুরি আর আমদানিতে ৫ শতাংশ রেখে বাকি সব ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়। পরে গত ২০ মার্চ লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৬০ টাকা। এরপর ৫ মে তেলের দাম লিটারে এক লাফে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ১৯৮ টাকা।
গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে তেলের দাম পুনর্নির্ধারণের দাবি জানায় কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সে সময় বিশ্ববাজারে দাম ২৬ শতাংশের মতো কমেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৭৬৫ ডলার। ২০২০ সালে দাম ছিল ৮৩৮ ডলার এবং ২০২১ সালে সয়াবিনের টনপ্রতি দাম ছিল এক হাজার ৩৮৫ ডলার। চলতি বছরের মার্চে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় এক হাজার ৯৫৬ ডলার। এপ্রিলে তা কমে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় এক হাজার ৯৪৭ ডলার। আর বর্তমানে টনপ্রতি এক হাজার ৪৬৪ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়