সেন্ট লুসিয়ায় ধীরে এগুগোচ্ছে উইন্ডিজ

আগের সংবাদ

বিধ্বস্ত শহরে ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা : আদালতের নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ > অফিসপাড়া নিথর > বন্ধ হাসন রাজা মিউজিয়াম > পথে পথে ক্ষতচিহ্ন

পরের সংবাদ

অধ্যাপক ড. শামসুল আলম : আমরা কি সঠিক দামে ও মাপে বিদ্যুৎ পাচ্ছি?

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, বিদ্যুৎ খাত বাণিজ্যিক খাতের মাধ্যমে চালাতে হলে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা প্রয়োজন। সঠিক দামে, সঠিক মানে ও সঠিক মাপে বিদ্যুৎ পাওয়া নাগরিকের জ¦ালানি অধিকার। আমরা কি সঠিক দামে বিদ্যুৎ পাচ্ছি?
গতকাল রবিবার গুলশানের একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেটে এনার্জি এন্ড পাওয়ার সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, একজন নাগরিকের জ্বালানি অধিকার হলো- সঠিক দামে, সঠিক মানে ও সঠিক মাপে বিদ্যুৎ পাওয়া। কিন্তু আমরা কি সঠিক দামে বিদ্যুৎ পাচ্ছি? বিদ্যুতের যে দাম নির্ধারণ করা হয় সেটা কি সঠিক? নিঃসন্দেহে সঠিক নয়। সরকার বিদ্যুৎ খাতকে বাণিজ্যিক খাতের মাধ্যমে চালাতে চাচ্ছে। এটা করতে হলে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা প্রয়োজন- হোক সেটা দেশি কিংবা বিদেশি। কোম্পানির কাছে সরকার কেন জিম্মি হবে? ন্যায্য দামে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকার নির্ধারিত দামে বিদ্যুৎ কিনতে পারবে। সরকারের উদ্যোগ কেন হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে? সরকার যদি এখন উদ্যোগ না নেয় তাহলে বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সরকারের স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যাবে। এক সময় জনগণের মধ্যে চরম অসন্তোষ তৈরি হবে। প্রশাসন অচল হয়ে যাচ্ছে। কোনো অন্যায়ের প্রতিকার হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ জ্বালানি চাহিদাও বেড়েছে। সুতরাং জ্বালানির দাম বাড়লে বিদ্যুতের দাম বাড়বে। এটাই বাস্তবতা। কিন্তু এই সেক্টরে দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়ভাবে ব্যয় ও লুণ্ঠনমূলক ব্যয় চলে আসছে। যে ব্যয়কে বিশেষ আইনের দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে। সরকার বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে দিচ্ছে। তাহলে সেই ঘাটতি কোথা থেকে আসবে। যেখানে ২০-২২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, পেট্রোলিয়াম, এলএনজি ও কয়লা আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত চাপের মুখে পড়েছে। ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ার পরেও ব্যয় সমন্বয় করা কঠিন। বাড়তি উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভালো বিকল্প হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার এসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান করিম বলেন, সরবরাহ সিস্টেমে ঘাটতির কারণে লোড শেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতে আমাদের সত্যিকারের ক্যাপাসিটি ১৬ হাজার মেগাওয়াট। ১৬ হাজার মেগাওয়াট কিছু না। আমাদের অন্তত ২০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়