স্বপ্নজয়ের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

আগের সংবাদ

হাওর জনপদে স্বাস্থ্যসেবা ‘নেই’

পরের সংবাদ

সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে উদ্যোগ নেয়ার দাবি : চৌমুহনীতে ৩৩ পুকুর দীঘির জায়গা প্রভাবশালীদের দখলে

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গোলাম মহিউদ্দিন নসু, বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) থেকে : জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীতে সরকারি ৩৩টি পুকুর ও দীঘি রয়েছে। যেগুলোর চার পাড়ের বিশাল জায়গায় বৈধ-অবৈধ দোকান নির্মাণ করায় জনসাধারণের পানি ব্যবহারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগে পানি ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। সুপেয় পানি নিশ্চিত এবং যে কোনো দুর্যোগে পানির সহজ লভ্যতা নিশ্চিতকরণে সরকারি পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
সরকারি সংস্থাগুলোর যথাযথ নজরদারি না থাকায় চৌমুহনী শহরের এসব পুকুর ও দীঘির জায়গাগুলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে মিলেমিশে দখল করে রেখেছে। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য, ব্যাহত হচ্ছে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এজন্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতাকেই দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়রা জানান, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও জেলা পরিষদের মালিকানাধীন এসব পুকুর ও দীঘিতে প্রথমে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। পরে মাটি ফেলে খুঁটি গেড়ে কৌশলে ধীরে ধীরে ভরাট করে নির্মাণ করা হয় দোকানপাট। এমনকি সুযোগ বুঝে গড়ে উঠছে বহুতল ভবনও। ফলে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটলেও পানির জন্য বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের। অন্যদিকে পৌরবাসী বঞ্চিত হয় সুপেয় পানি থেকে।
জেলার এ প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীতে সম্প্রতি এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সে সময়ে পুকুরের পানির অভাবে ব্যাহত হয় ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ কাজ। ফলে কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। দখলকৃত এসব পুকুর ও দীঘি দ্রুত উদ্ধার করে তা ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চৌমুহনী পৌর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মিয়া বলেন, চৌমুহনী বাজারের ভেতরে অবস্থিত বড় মসজিদ পুকুর, সিনেমা হলের পেছনের পুকুর, রেল স্টেশনের পশ্চিমের পুকুর পাড়ের দোকানগুলোর কারণে অগ্নিকাণ্ডের মতো বড় দুর্ঘটনায় প্রয়োজনে পানি ব্যবহার করা যায়নি। পৌরসভার পুকুর পাড়গুলো কিছু কিছু লিজ নিয়ে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ দখল করেছে। এসব অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে; প্রয়োজনে কিছু লিজ বাতিল করে হলেও চৌমুহনী বাজারের সুপেয় পানি নিশ্চিত করা দরকার। এছাড়া যে কোনো দুর্ঘটনায় পানি সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীল প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই জরুরি।
চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, একসময় এসব পুকুর ও দীঘি চৌমুহনী পৌরসভার অধীনে ছিল। বর্তমানে সরকারি নীতিমালার কারণে তা পৌরসভার তত্ত্বাবধান করার সুযোগ নেই।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমানের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করলে তিনি বলেন, দ্রুত এসব পুকুর-দীঘি ও জলাশয় দখল এবং ভরাট রোধে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এগুলো জনকল্যাণে ব্যবহার করার সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়