স্বপ্নজয়ের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

আগের সংবাদ

হাওর জনপদে স্বাস্থ্যসেবা ‘নেই’

পরের সংবাদ

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বেহাল দশা : ওয়ার্ক অডার না পাওয়ায় শুরু হচ্ছে না নির্মাণকাজ

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মেহেরপুর প্রতনিধি : মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের প্রায় ৫৮ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কাদা মাটি আর খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। একনেকে চার লেনের রাস্তা নির্মাণের অনুমোদন হলেও ওয়ার্ক অর্ডার না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে পারছে না বলে দাবি মেহেরপুর সড়ক বিভাগের। ৫৮ কিলোমিটার রাস্তার ২৭ কিলোমিটার মেহেরপুরের অংশে।
আঞ্চলিক এই মহাসড়কের গাংনী উপজেলার জোরপুকুরিয়ায় জমে আছে হাঁটু পানি। এছাড়া গাংনী টার্মিনাল এলাকা, গাড়াডোব, পুড়াপাড়া, বাঁশবাড়িয়া, মালশাদহ, তেরাইল, অলিনগর, বামন্দী, ছাতিয়ান, বাওট, আকুবপুর, খলিশাকুণ্ডি পর্যন্ত খানাখন্দে ভরে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটির বেশির ভাগ অংশে পিচ ও পাথর উঠে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে এক প্রকার ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, বাস, পণ্যবাহী পিকআপ, অ্যাম্বুলেন্সসহ নানা ধরনের পরিবহন চলছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। মেহেরপুর সড়ক বিভাগ প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা মেরামত বাবদ খরচ করলেও এক মাসও টেকে না বলে জানান স্থানীয়রা। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সড়কটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
মেহেরপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, বাংলাদেশের শেষ সীমানা মেহেরপুর জেলা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার জন্য সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তা খারাপ হলেও প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বাসচালক ফিরোজ রহমান বলেন, রাস্তায় কাদা মাটিতে ভরে গেছে। গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।
মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের মেহেরপুর উপসহকারী প্রকৌশলী শাহিন রেজার কাছে মেরামত বাবদ কত খরচ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ৫৮ কিলোমিটার মেহেরপুর-কুষ্টিয়া চার লেনের সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। ওয়ার্ক অর্ডার পেলেই আমরা কাজ শুরু করতে পারব।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল আহসানের কাছে কত দিনে কাজ শুরু হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের হাতে না। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সব কাগজপত্র পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়