স্বপ্নজয়ের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

আগের সংবাদ

হাওর জনপদে স্বাস্থ্যসেবা ‘নেই’

পরের সংবাদ

বর্ণিল উৎসবে খুলল দখিন দুয়ার

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ রুহুল আমিন, পদ্মা সেতু এলাকা থেকে ফিরে : প্রমত্তা পদ্মার বুকে ডানা মেলে দাঁড়িয়ে আছে স্বপ্নের সেতু। বহুল কাক্সিক্ষত উদ্বোধন হয়ে গেল গর্বের এই সেতুর। গতকাল শনিবার বর্ণিল উৎসবে খুলল দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার ৩ কোটি মানুষের আবেগের দুয়ার। এই উৎসবে শামিল হয়েছে সারাদেশ। গর্বিত বাঙালির উচ্ছ¡সিত কণ্ঠে দুনিয়া কাঁপানো গর্জন- ‘আমরাও পারি’। ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে দূর-দূরান্ত থেকে পদ্মার দুই পাড়ে সমবেত হন লাখো মানুষ। সবার চোখেমুখে বাঁধভাঙা উল্লাস। পদ্মার এপার-ওপারজুড়ে আনন্দের জোয়ার। কেউ ১৮ ঘণ্টা সাইকেল চালিয়ে, কেউ বা নৌকা বানিয়ে, কেউ বুকে-পিঠে পদ্মা সেতুর ছবি এঁকে, নেচে-গেয়ে, মিছিলে-স্লোগানে, গানে গানে, তালে তালে উপস্থিত হয়েছেন পদ্মার দুই পাড়ে। এই সেতুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির আবেগ, সৃজনশীলতা, সাহসিকতা, সহনশীলতা আর দৃঢ় প্রত্যয়। বিশ্ব দেখল বাঙালি জাতি কখনো মাথা নোয়ায় না। আরো একবার প্রমাণ হলো বাঙালি বীরের জাতি। সদর্পে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলার মানুষ।
যেভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরু : গতকাল সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে রওনা হয়ে ঠিক ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০টা ৩ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলের মূল মঞ্চে উঠেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করলে বিপুল করতালি ও স্লোগান দিয়ে তাকে অভিবাদন জানান উপস্থিত সুধীজন। প্রায় ৩ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তি অংশ নেন সমাবেশে। মন্ত্রিসভার সদস্য, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিগণ, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান, পুলিশের আইজি, র‌্যাব মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক, আইনজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সরকারি দলের বাইরে সুধী সমাবেশে আরো অংশ নেন মুজিবুল হক চুন্নুসহ জাতীয় পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্যরা, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়–য়াসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ, বিকল্পধারার মাহী বি চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। সবাই প্রধানমন্ত্রীকে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানান। মঞ্চের সামনে প্রথম সারিতে বসায় কৌতূহল ছিল সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াকে নিয়ে। সেতু প্রকল্পের শুরুতেই দুর্নীতির অভিযোগ ছিল এই দুই জনের বিরুদ্ধে। যার ফলে মন্ত্রিত্ব, দলীয় পদ ও সংসদ সদস্যপদ সবই হারাতে হয় আবুল হোসেনকে। জেল খাটতে হয়েছিল সে সময়ের যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াকে। তাদের ঘিরে স্বভাবতই গতকাল ছিল বেশ কানাঘুষা। তাহলে কী প্রধানমন্ত্রী তাদের নিয়ে কোনো চমক দেখাতে পারেন! সেই কৌতূহল বাস্তবে রূপ নিল যখন মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব, অহঙ্কার, সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক। অনেক বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে আজ বহু-কাক্সিক্ষত সেতু দাঁড়িয়ে গেছে। এই সেতুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, সৃজনশীলতা, সাহসিকতা, সহনশীলতা আর জেদ। পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের অধিবাসীদের যাদের জমিজমা ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের এই ত্যাগ ও সহযোগিতা জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। তিনি বলেন, যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিলেন তাদের কারো বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই, অনুযোগ নেই। কারণ জাতির পিতা বলেছিলেন এই মাটি আমার, এই দেশ আমার। সব অন্ধকার ভেদ করে আলোর মুখ দেখেছি আমরা। পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে লাল, নীল, সবুজ ও সোনালি আলোর ঝলকানি। এই সেতুর মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ সহজ হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের উন্নতি হবে। তাদের যাতায়াত সহজ হবে। এছাড়া এই অঞ্চলের দারিদ্র্যের হারও হ্রাস পাবে। বক্তব্যের এক পর্যায়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে বলেন, এই পদ্মা সেতু বঙ্গবন্ধু পরিবার ও বাঙালির অপমানের প্রতিশোধ। প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, গোটা জাতি

আপনাকে স্যালুট করে। সারাবিশ্বে আজ আপনি প্রশংসিত। আপনি প্রমাণ করেছেন ‘ইয়েস উই ক্যান’। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শেখ হাসিনা না থাকলে, এই সেতু শেষ হতে ২০ বছর সময় লাগত।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শেষে ১০০ টাকার স্মারক নোট অবমুক্ত করেন। এতে ডানে বঙ্গবন্ধু, বায়ে শেখ হাসিনার ছবি শোভা পেয়েছে। এছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ডে পদ্মা সেতুর ছবি মুদ্রিত হয়েছে। এই নোটটি আজ থেকে বাংলাদেশের মতিঝিল শাখায় ও পর্যায়ক্রমে সব ব্যাংকে পাওয়া যাবে। হলমার্ক ডাক টিকেট ও স্যুভিনিয়রও অবমুক্ত করেন শেখ হাসিনা। এরপর সেতু নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত প্রকৌশলীদের সঙ্গে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গ্রুপ ছবি তোলেন তিনি।
টোল পরিশোধ ও ফলক উন্মোচন : সুধী সমাবেশ শেষে বেলা ১১টা ৪৯ মিনিটে ৭৫০ টাকা টোল দিয়ে প্রথম যাত্রী হিসেবে পদ্মা সেতুতে প্রবেশ করেন সরকারপ্রধান। নিজের গাড়িবহরে থাকা সবগুলো গাড়ির মোট ১৬ হাজার ৪০০ টাকা টোল পরিশোধ করেন তিনি। টোল প্লাজা থেকে বেরিয়ে ১১টা ৪৯ মিনিটে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচনস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এখানে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এসময় শেখ হাসিনা সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে কাছে ডেকে নেন। সৈয়দ আবুল হোসেন প্রধানমন্ত্রীকে পা ছুঁয়ে সালাম করেন। এরপর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। ফলক উন্মোচনের সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে রঙিন আবির উড়ানো হয়। ফলক উদ্বোধনের পর মোনাজাত পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মেয়ে পুতুলের ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি মা শেখ হাসিনা : ফলক উন্মোচনস্থলে লাল গালিচায় ফটোসেশনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। পুতুলের কাঁধে ছিল একটি ক্যামেরা। উৎসবের ক্ষণে মায়ের সঙ্গে পুতুল মোবাইল ফোনে সেলফি তোলেন। ছবি তোলা শেষে প্রধানমন্ত্রী তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজনের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে ভিডিও কলে যুক্ত হন। ভিডিও কলেই মোবাইল ঘুরিয়ে হাসিমুখে পুরো এলাকা দেখান তিনি। প্রধানমন্ত্রী যখন ভিডিও কলে কথা বলা শুরু করেন, তখন পুতুলকে দেখা যায় ক্যামেরা হাতে মায়ের ছবি তুলতে। এরপর পুতুলকেও ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী, একসঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন মা-মেয়ে। এক পর্যায়ে সেখানে নিজেই মাইকে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তার সঙ্গে স্লোগান দেন উপস্থিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
মাঝ সেতুতে ১৫ মিনিট সময় কাটালেন প্রধানমন্ত্রী : ফলক উন্মোচন শেষে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর মূল সেতুতে উঠে বেলা ১২টা ৭মিনিটে। কিছুক্ষণ পর বহরের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সেতুর মাঝখানে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রায় ১৫ মিনিট সময় কাটান তিনি। উপভোগ করেন বিমান ও হেলিকপ্টারের ফ্লাইং ডিসপ্লে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআরর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই মাওয়া-জাজিরার আকাশে ফ্লাইং ডিসপ্লে প্রদর্শনী হয়। এসময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ২৮টি বিমান ও হেলিকপ্টারের মনোরম প্রদর্শনী উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। মেয়ে সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলও তার সঙ্গে ছিলেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টারসহ মোট ২৮টি উড়ো যান এই ফ্লাইপাস্টে অংশ নেয়। এই ফ্লাইপাস্টে মিগ-২৯ ও এফ-৭ সিরিজের যুদ্ধবিমান, সি-১৩০ জে ও এল-৪১০ পরিবহন বিমান, এবং গ্রোব-১২০ টিপি প্রশিক্ষণ বিমান বিভিন্ন ধরনের ফরমেশনে উড্ডয়নের পাশাপাশি বর্ণিল ধোঁয়া ছেড়ে অনুষ্ঠানস্থল অতিক্রম করে। জাতীয় পতাকা সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পদ্মা সেতু ও ‘জয় বাংলা’ ব্যানার নিয়ে এগিয়ে যায় ৫টি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। এছাড়াও একটি বেল-২১২ হেলিকপ্টার থেকে অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের জন্য লিফলেট বিতরণ করা হয়। সবশেষে সাতটি কে-৮ ডব্লিউ এবং একটি মিগ-২৯ বিমানের মনোমুগ্ধকর অ্যারোবেটিক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ফ্লাইপাস্ট শেষ হয়। প্রধানমন্ত্রী সেতুর উপর প্রায় ১৪ মিনিট দাঁড়িয়ে বিমানবাহিনীর এই প্রদর্শনী দেখেন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু পাড়ি দিয়ে ১২টা ৩৪ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পৌঁছান। সেখানে সেতুর আরেকটি ফলক উন্মোচন করেন তিনি। পরে যোগ দেন মাদারীপুরের শিবচরে আওয়ামী লীগের বিশাল সমাবেশে। সেখানে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে যারা বাধা দিয়েছিল, তাদের উপযুক্ত জবাব দেয়া হয়েছে। এই সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ দেখিয়েছে, আমরাও পারি। তিনি বলেন, এই খরস্রোতা পদ্মা নদী পার হতে গিয়ে আর কাউকে সন্তান হারাতে হবে না, বাবা-মাকে, ভাইবোনকে হারাতে হবে না। আজকে সেখানে আপনারা নির্বিঘেœ চলতে পারবেন। এসময় পদ্মা সেতুকে ‘প্রাণের সেতু’ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
সেতুতে মানুষের ¯্রােত : মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই হাজার হাজার মানুষ সেতুতে উঠে যায়। তারা পায়ে হেঁটে সেতুর প্রায় দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত যান। কেউ কেউ আবার মোটরসাইকেল নিয়েও সেতুতে উঠেন। কেউ কেউ সেতুর পাশের সীমানা বেড়ার নিচ ও উপর দিয়ে সেতুতে উঠেন। তাদের অনেকেই ফলক উন্মোচনস্থলে গিয়ে ছবি তোলেন। প্রথমে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেতুতে উঠতে কাউকে বাধা দেননি। প্রায় আধা ঘণ্টা পর বেলা পৌনে ২টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেতুমূখী জন¯্রােত ঠেকানো শুরু করেন। এসময় হালকা লাঠিচার্জেরও পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েকটি গাড়ি নিয়ে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা সেতুতে চলে যান। গাড়ির সাইরেন বাজিয়ে সেতুর ভেতরে যাওয়া লোকজনকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। বেলা আড়াইটার দিকে পুরো সেতু খালি হয়ে যায়। এসময় হালকা বৃষ্টিও শুরু হয়। এসময় একজন পথচারী বলেন, অনেক কষ্ট করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখতে এসেছি। পায়ে হেঁটে সেতুর প্রায় দেড় কিলোমিটার ভেতরে গিয়েছি। পরে পুলিশ এসে আমাদের বাধা দেয়। তারা আর ভেতরের দিকে যেতে দেয়নি। আমরা ফেরত এসেছি। তবে যতটুকু গিয়েছি আনন্দে মনটা ভরে গেছে। অনেককে সেতুর ওপরে বেলুন ফুলিয়ে উড়িয়ে দিতেও দেখা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়