পদ্মা সেতু উদ্বোধন : বুয়েটে ক্লাস বন্ধ থাকবে ২৫ জুন

আগের সংবাদ

বর্ণিল উৎসবে খুলল দখিন দুয়ার

পরের সংবাদ

অর্থনীতির মোড় বদলের মাহেন্দ্রক্ষণে

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মরিয়ম সেঁজুতি : স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে আরেকটি বড় অর্জন পদ্মা সেতু। নিজস্ব অর্থায়নে এত বড় বাজেটের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিশ্বকে অর্থনৈতিক সক্ষমতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এই সেতু ঘিরে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে এক ধরনের কম্পন সৃষ্টি হবে। যার ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রভাব বিস্তার করবে। এতে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। অর্থনীতির মোড় বদলের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ।
সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি শেখ হাসিনা সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প। পদ্মা সেতুর ওপারে কৃষিনির্ভর শিল্প গড়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় ওইসব অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব হবে। ওপারে যেন কৃষিনির্ভর শিল্প হয়, সেদিকেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন হলে দেশের খাদ্য চাহিদাও মেটানো যাবে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করলে শুধু রপ্তানি নয়, দেশেও বাজার সৃষ্টি হচ্ছে।
দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পদ্মা সেতু শুধু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় যাতায়াত সুবিধাই দেবে না, জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে। প্রতিবছর দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়বে শতকরা ১ দশমিক ২ ভাগ, আর রেল যোগাযোগ পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হলে এর পরিমাণ আরো ১ শতাংশ হারে বাড়বে। টাকার অঙ্কে প্রতিবছর বাংলাদেশের দেশজ আয়ে সংযুক্ত হবে প্রায় এক লাখ এগারো হাজার কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশজ আয় বৃদ্ধির হারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে তার বর্তমান অবস্থান ২০ থেকে উন্নীত হয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে যাবে ২০২৬ সালের মধ্যে। জানতে চাইলে গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, জিডিপিতে অবদান রাখার পাশাপাশি পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ, পরিবহন, বিপণন দ্রুততর হবে। এ কড়িডোরের বিভিন্ন জায়গায় প্রস্তাবিত ১৭টি স্পেশাল ইকনোমিক জোন, বিনোদনকেন্দ্র, পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠবে। গড়ে উঠবে বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এগুলো জিডিপিতে এক ধরনের উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তিনি বলেন, শুধু টোল সংগ্রহ নয়, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বহুমাত্রিক এবং বহুমুখী অবদান রয়েছে। এর সুবিধা পেতে এখন আমাদের যথাযথ কৌশল নিতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের স্থানীয় বাণিজ্যে বিশাল প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন দেশের অন্যতম গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. গোলাম মোয়াজ্জেম। ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যে সড়ক ব্যবস্থার উন্নতি হবে তাতে সময় কমে যাবে, ব্যয় কমে আসবে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের উৎপাদিত পণ্যের একটি বড় বাজার শুধু রাজধানীতেই নয়, অন্যান্য অঞ্চলগুলোতেও বিস্তৃতি লাভ করবে। তিনি বলেন, পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নদীপথের যে অনিশ্চয়তা তাতে পচনশীল বিভিন্ন ধরনের পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে অনেক ক্ষতিরও সম্মুখীন হতে হয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে এবং সে ধরনের শিল্পগুলোর চাহিদা মোতাবেক পণ্য উৎপাদিত হয়ে সেটা অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে যাবে। এ অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, ধীরে ধীরে দক্ষিণাঞ্চলে যখন গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সংযোগ স্থিতিশীল হবে, তখন শুধু কৃষিভিত্তিক শিল্পই সেখানে গড়ে উঠবে না, ম্যানুফ্যাকচারিং বা অন্যান্য ধরনের ভারী শিল্প বিস্তৃতি লাভ করবে। কেননা সেখান থেকে বন্দরের সুবিধা পাওয়া যাবে, যা বহিঃবাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা করবে। আন্তঃবাণিজ্য যেটা বিভিন্ন অঞ্চলের উৎপাদিত কাঁচামাল সেগুলোও পদ্মা সেতু ব্যবহার করে দক্ষিণাঞ্চলে সহজে যেতে পারবে। সুতরাং পদ্মা সেতুর মাধ্যমে তিন স্তরে স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করেন গোলাম মোয়াজ্জেম। এগুলো হচ্ছে- একেবারেই স্বল্প মেয়াদে কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে, মধ্যমেয়াদে কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিস্তার এবং দীর্ঘমেয়াদে ভারী শিল্পের বিস্তার হওয়ার একটি বড় সুযোগ এবং এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু দিয়ে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর, মোংলা ও পায়রাবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা আরো সহজ করবে। শিল্পদ্যোক্তাদের কাছে গুরুত্ব বাড়াবে এ বন্দরগুলোর। এতে রপ্তানি বাণিজ্য হবে আরো সহজ ও সাশ্রয়ী। সেতু ঘিরে অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইকনোমিক জোন), পর্যটন, ইকোপার্কের পরিকল্পনা হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে হিমায়িত মৎস্য ও পাটশিল্পের নতুন সম্ভাবনা। পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসার অপেক্ষায়। এর ফলে দেশে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরো সহজ হবে। পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ অবদান রাখবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
২০১০ সালের নিউজিল্যান্ডভিত্তিক সেতু নকশা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মৌনসেলের সমীক্ষায় সেতুর সুবিধা-খরচের অনুপাত ১ দশমিক ৭ গুণ এবং অর্থনৈতিক অভ্যন্তরীণ ফেরত হার ১৮ শতাংশ দেখানো হয়েছে যা সাধারণত কোনো বিনিয়োগের মানসম্মত ফেরত হার (১২ শতাংশের) চেয়েও অনেক বেশি। যার ফলে, গাণিতিক হিসাবেও এ সেতু অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে। সেতু বিভাগ দ্বারা নিযুক্ত যৌথ পরামর্শদাতা সংস্থার (আরপিটি-নেডকো-বিসিএল) সমীক্ষা অনুসারে, পদ্মা সেতু প্রকল্প দেশের জিডিপি ১ দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়বে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। পাশাপাশি জাইকার সমীক্ষা মতেও দেখানো হয়েছে, পদ্মা সেতু আঞ্চলিক জিডিপি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং দেশজ জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়তে সহায়তা করবে। পদ্মা সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী, টোল থেকে প্রাপ্ত অর্থে ২৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সেতু নির্মাণ ব্যয় উঠে আসার কথা।
মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাবে, বাড়বে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য : পদ্মার বুকে নির্মিত দেশের দীর্ঘতম এ সেতু চালু হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে। কৃষকরা তাদের নিজস্ব উদ্যোগে ঢাকাসহ সারাদেশে মাছ এবং কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাত করে অধিক লাভ করতে পারবেন। বাগদা, গলদা চিংড়ি ছাড়াও মাছ চাষের প্রসিদ্ধ জেলা বাগেরহাট। এসব মাছের চাহিদা দেশের চৌহদ্দি পেরিয়ে দেশের বাইরেও রয়েছে। এছাড়া এ জেলা থেকে শসা, করলা, ঝিঙা, পেঁপে এবং মিষ্টি কুমড়াও ঢাকাসহ দেশের নানা স্থানে যায়। হিমায়িত পণ্য রপ্তানিকারকরা (বিএফএফএ) নানা কারণ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির চাহিদা ‘কম’ উল্লেখ করে স্থানীয় বাজারে দাম কমিয়ে দেন। মাছ চাষিদের আশা, পদ্মা সেতু চালু হলে চিংড়ি ও সাদা মাছ ঢাকার বাজারে ‘সরাসরি’ বিক্রি করা যাবে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এমনিতেই কৃষিতে উন্নত। এ সেতু দিয়ে তাদের কৃষিপণ্য খুব সহজেই ঢাকায় চলে আসবে। মোংলা ও পায়রাবন্দর এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী এবং বন্দরনগর চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। কোনো বিনিয়োগের ১২ শতাংশ রেট অব রিটার্ন হলে সেটি আদর্শ বিবেচনা করা হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে (এন-৮) ও ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সংযোগ স্থাপিত হবে। পর্যটনশিল্পের প্রসার ঘটবে এবং দক্ষিণ বাংলার কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত, সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ, টুঙ্গীপাড়ার বঙ্গবন্ধু মাজার, মাওয়া ও জাজিরা পাড়ের রিসোর্টসহ, নতুন পুরনো পর্যটনকেন্দ্র দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হবে।
পদ্মা সেতু বাণিজ্য সম্প্রসারণে কীভাবে ভূমিকা রাখবে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইএর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের দেশে কৃষিপণ্য বিশেষ করে প্রচুর সবজি উৎপাদন করা হয়। সবজিগুলো দুর্বল পরিবহন ব্যবস্থাপনার কারণে সময় বেশি লাগে, পণ্য পচে যায়। ফলে কৃষকও ঠিকভাবে দাম পায় না। এছাড়া এতদিন শুধু চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করা যেত। এখন মোংলা এবং পায়রাবন্দর সবগুলোই কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাবে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে লোকেশন, কমিউনিকেশন, ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান নতুনভাবে গড়ে উঠবে। পর্যটনে বড় প্রভাব পড়বে। কারণ কুয়াকাটা একটি অন্যতম পর্যটন স্থান। এতদিন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিল না, তাই মানুষ আগ্রহ দেখাত না। এখন গতিশীলতা বেড়ে যাবে। ফলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান আমরা প্রত্যাশা করছি।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকনোমিস্ট জাহিদ হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিয়মকানুনের যে বাধাগুলো রয়েছে তা যদি কোনোরকম সংস্কার না হয় তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা আর বাস্তবে দেখা দিবে না। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হবে। আর উৎপাদন ও বিনিয়োগও বাড়বে। আগে যারা দক্ষিণাঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাননি, এখন তারা আগ্রহ দেখাবেন। এতে আন্তর্জাতিকভাবে বাণিজ্য সম্প্রসারিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দৃশ্যমান ফল দেখতে হলে এ মুহূর্তে ভারতকেই গুরুত্ব দিতে হবে।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর ওপারে সংযোগ সড়ক থেকে ভাঙ্গা উপজেলা থেকে তিন দিকে ৩টি রাস্তা চলে গেছে। এর একটি বরিশাল, একটি খুলনা অংশে, আরেকটি রাজবাড়ী, যশোর, বেনাপোলে। এ ৩টি সড়ক যুক্ত হবে মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও বেনাপোল স্থল বন্দরের সঙ্গে। ফলে তিন বন্দর দিয়েই আমদানি পণ্য দ্রুত ঢাকাসহ শিল্পাঞ্চলগুলোয় প্রবেশ করতে পারবে। রপ্তানি পণ্যের লিডটাইম কমে যাবে। ফলে দ্রুত ব্যবসার রিটার্ন বা মুনাফা পাওয়া যাবে। ঢাকার বাইরে পদ্মা সেতুর আশপাশের এলাকায় গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রসার ঘটার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কৃষি-শিল্প-অর্থনীতি-শিক্ষা-বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই এ সেতুর বিশাল ভূমিকা থাকবে।
পদ্মা সেতুর বহুমুখী কার্যক্রম নিয়ে সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেতুকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ে ২৯ শতাংশ বাড়বে নির্মাণকাজ, সাড়ে ৯ শতাংশ কৃষিকাজের প্রবৃদ্ধি, ৮ শতাংশ বাড়বে উৎপাদন ও পরিবহন খাতের কাজ। এর প্রভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ কোটি লোকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে। ফলে পদ্মা নদীর ওপারে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার কমবে ১ শতাংশ। ওই অঞ্চলে দারিদ্র্য কমলে এর প্রভাব পড়বে সারাদেশে। তখন জাতীয়ভাবে দারিদ্র্যের হার কমবে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়