কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিডেটের ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন সরকার মামলার এ আবেদন করেন। কিন্তু বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলার আবেদনটি ফেরত দেন আদালত।
এ মামলার আবেদনে বাকি আসামিরা হলেন- ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপপ্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় বাবদ ঢাকা ওয়াসা থেকে ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা বাবদ পায়। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা। এর মধ্যে সমিতির হিসাবে জমা হয় মাত্র ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা।
অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ৬টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অপর আসামিরা আত্মসাৎ করে।
আসামিদের এই আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া সমিতির হেফাজত থেকে গাড়ি ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ চুরির অভিযোগ আনা হয়।
আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে বিশ্বাসভঙ্গ করে আত্মসাৎ ও চুরি করেছেন বলে অভিযোগ এনেছে বাদীপক্ষ। মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি অথবা পিবিআইকে তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানান বাদী শাহাব উদ্দিন সরকার।