র‌্যাব মহাপরিচালক : নাশকতার তথ্য নেই তবুও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছি

আগের সংবাদ

বাংলাদেশের গর্ব, বিশ্বের বিস্ময় : জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে যেভাবে ডানা মেলল স্বপ্নের পদ্মা

পরের সংবাদ

১১৬ ‘ধর্মীয় বক্তা’র দুর্নীতি : গণকমিশনের ‘শ্বেতপত্র’ যাচাই-বাছাইয়ে কমিটি

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এক হাজার মাদ্রাসার তথ্য উপাত্তের ওপর তদন্ত করে ১১৬ ‘ধর্মীয় বক্তার’ বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে গণকমিশনের জমা দেয়া ‘শ্বেতপত্রটি’ আমলে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য গত মঙ্গলবার সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ কমিটি কাজ শুরু করেছে। টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন- উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও উপপরিচালক আহসানুল কবীর পলাশ। যাচাই-বাছাইয়ে অভিযোগের স্বপক্ষে সত্যতা বা তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেলে এই টিম তাদের পর্যবেক্ষণ কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে। পরে কমিশন বিষয়বস্তু বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই ১১৬ ‘ধর্মীয় বক্তার’ আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় তা দূর করতে গতকাল ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব বলেন, স¤প্রতি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ২২১৫ পাতার একটি ‘শ্বেতপত্র’ দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করে। শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে এর সংক্ষিপ্তসার কমিশনে উপস্থাপন করার জন্য দুদক থেকে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব ধর্মীয় বক্তার আর্থিক লেনদেন অনুসন্ধান সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম এ কমিটি শুরু করবে না। এ ধরনের কোনো দায়িত্ব কমিটিকে দেয়া হয়নি। এমনকি কমিশন থেকে কোনো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তও হয়নি। এ কমিটি কেবল শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে তাদের পর্যবেক্ষণ কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে। পরে দুদক বিষয়বস্তু বিশদ পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এর আগে গত ১১ মে এক হাজার

মাদ্রাসার তথ্য উপাত্তের ওপর তদন্ত করে ১১৬ ধর্মীয় বক্তার দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ‘শ্বেতপত্র’ জমা দিয়েছিল ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত গণকমিশন। দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে এই শ্বেতপত্র ও ১১৬ সন্দেহভাজন ধর্মীয় বক্তার তালিকা তুলে দেয়া হয়। গণকমিশনের চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তালিকা জমা দেয়ার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছিলেন, আমরা ৯ মাস তদন্ত করেছি। বহু ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নিয়েছি। ২২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন গত মার্চে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। ধর্মান্ধগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমরা দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছি। তারা মানিলন্ডারিং করেছে। জামায়াত ও ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করা হচ্ছে। সেই দুর্নীতির তথ্য দিলাম। দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্য তুলে ধরে সাবেক এই বিচারপতি আরো বলেছিলেন, দুদক চেয়ারম্যান জানিয়েছেন অর্ধশতাধিক ‘ওয়াজ ব্যবসায়ীর’ দুর্নীতির খোঁজ নিতে শুরু করেছেন। যারা অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামনুল হকসহ যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।
এর কয়েকদিন পর গত ২৩ মে দুদক চেয়ারম্যানের কা?ছে স্মারকলিপি দেন ইসলামী কালচারাল ফোরাম বাংলাদেশের নেতারা। যেখানে ১৯৯২ সাল থেকে এ পর্যন্ত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির আয়-ব্যয়ের হিসাব ও তহবিলের উৎস, কমিটির নেতাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং গণকমিশনের শ্বেতপত্রসহ অতীতে তাদের প্রকাশিত শ্বেতপত্রের আর্থিক জোগান ও আয়-ব্যয় সম্পর্কে অনুসন্ধানের অনুরোধ করেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়