র‌্যাব মহাপরিচালক : নাশকতার তথ্য নেই তবুও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছি

আগের সংবাদ

বাংলাদেশের গর্ব, বিশ্বের বিস্ময় : জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে যেভাবে ডানা মেলল স্বপ্নের পদ্মা

পরের সংবাদ

বাংলার আধুনিক মহাকাব্য : পদ্মা সেতু

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভারতীয় পুরাণে আমরা গঙ্গা নদীর জন্মের কথা জেনেছি। কপিলমুনির অভিশাপে মর্ত্যভূমি ভষ্ম হলে প্রাণিকুল বিপর্যস্ত হলে বিপন্ন মানুষ ভগিরথের শরণাপন্ন হলে, তিনি তপস্যায় ব্রতী হলেন; ভগিরথের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা বরদান করলেন এবং দেবী গঙ্গাকে জাগ্রত করে নির্দেশ করলেন মর্ত্যভূমে অবতীর্ণ হতে। গঙ্গা হিমালয় থেকে শিবের মাথায় নেমে এলেন। শিবের জটা বেয়ে মর্ত্যে নেমে এলো ব্রহ্মপুত্র-বিপাশা-যমুনা-ইরাবতী-সরজু-সৌনভদ্র-শতদ্রু-চন্দ্রভাগা প্রভৃতি নদ-নদী; দৈত্যকুল নিজেদের বঞ্চিত ভেবে ক্ষুব্ধ; তারা দৈত্যগুরু শুক্রাচার্যের কৃপা প্রার্থনা করল। শুক্রাচার্য তাদের প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হয়ে বর দিলেন, জন্ম হলো প্রবল পরাক্রমী দামোদর নদের। দামোদর ছুটল গঙ্গার পথ রোধ করতে; গঙ্গা শঙ্খধ্বনি করে তার সাথীদের আহ্বান করলেন। অতঃপর নদীতে নদীতে যুদ্ধ পরাস্ত হলো দামোদর এবং তার দলবল। পরাজিত দামোদর দেবী গঙ্গার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল, দেবী গঙ্গা তাকে বললেন, ‘মানুষের কল্যাণব্রতে যেদিন তুমি প্রবাহিত হতে পারবে, যেদিন তুমি মর্ত্যভূমিকে শস্যসম্ভারে ভরিয়ে দেবার জন্য প্রস্তুত হবে, সেদিন এসো; তোমায় সঙ্গে নিয়ে প্রবাহিত হবো।’ লজ্জিত-অনুতপ্ত দামোদর তপস্যায় বসল। তার তপস্যায় তুষ্ট হয়ে দেব বিশ্বকর্মা তাকে বললেন, ‘তুমি দেবত্ব অর্জন করেছ দামোদর; মানব কল্যাণব্রতে এবার বয়ে যাও মর্ত্যলোকে। নিশ্চয়ই দেবী গঙ্গা তোমায় ক্ষমা করে চলার পথের সাথী করে নেবেন।’ সেই থেকে পৃথিবীতে বয়ে চলেছে নানান নদ-নদী।
ভারতীয় পুরাণের সেই গঙ্গা, আমাদের পদ্মা আজো প্রবাহিত হয়ে চলেছে পৃথিবীতে: কিন্তু এ তো ইতিহাস নয়- পুরাণ। প্রমত্ত পদ্মাকে নিয়ে বাঙালির মনে আবেগ আর উত্তেজনা ক্রিয়াশীল নানান কারণে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যে নদীটি গঙ্গা নামে পরিচিত এবং সমাদৃত দেবী হিসেবে; কলকাতার গঙ্গা ঘাটে প্রতি বছর লাখো মানুষ আসে পবিত্র হতে। ‘গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজা’ কথাটি আমাদের সমাজে ‘বাগধারা’ মর্যাদায় প্রচলিত। সেই ‘গঙ্গা’ বাংলাদেশে ‘পদ্মা’ নামে প্রবেশ করে। না, ‘পদ্মা’ বাংলাদেশে সে সম্মান পায়নি, যে সম্মান ‘গঙ্গা’ পায় পশ্চিমবঙ্গে। অবশ্য সমীহ পায় দুজনই দুদেশে। রবীন্দ্রনাথ তার জীবনের সিকি-শতাব্দীরও অধিক সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশের শিলাইদহে; কখনো পতিসর বা শাহজাদপুর গেছেন জমিদারির প্রয়োজনে। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি তার জীবনের উল্লেখযোগ্য সাহিত্য সৃজন করেছিলেন; বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য তার গীতাঞ্জলি, যার জন্য পেয়েছিলেন তিনি নোবেল পুরস্কার। কবিগুরুর ‘পদ্মা বোট’ আজ ইতিহাস। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি পদ্মা বোটে চড়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন, বোটে বসে কবিতাও লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথের বোট কুষ্টিয়া-রাজশাহীর বিভিন্ন নদীতে ঘুরেছে, কখনো পদ্মা নদীকেও ছুঁয়েছে।
পদ্মা কোনো ছোট নদী নয়; ধারণা করি পদ্মা সম্ভবত বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদীদের একটি, আর খরস্রোতা নদী হিসেবে পৃথিবীতে আমাজান নদীর পরেই পদ্মার অবস্থান। বাংলাদেশের উত্তর জনপদ রাজশাহী থেকে কুষ্টিয়া, পাবনা, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, ঢাকা, শরিয়তপুর এবং মুন্সীগঞ্জ জনপদকে ছুঁয়েছে পদ্মা, ধারণ করেছে নানান জনপদের সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য। পদ্মা তীরের সৌন্দর্য চিত্রিত হয়েছে কবিগুরুর কবিতায়। অবশ্য পদ্মার চারিত্র্য অংকিত হতে দেখি অন্যত্র। বিশিষ্ট গীতিকার আবদুল লতিফের লেখা আবদুল আলিমের গাওয়া নিচের গানটি স্মরণ করলেই জানা যাবে এদেশের মানুষের পদ্মার প্রতি সমীহার খবর।
সর্বনাশা পদ্মা নদী তোর কাছে শুধাই
বল আমারে তোর কি রে আর কূল কিনারা নাই,
কূল কিনারা নাই ও নদীর কূল কিনারা নাই \

পাড়ির আশায় তাড়াতাড়ি
সকাল বেলা ধরলাম পাড়ি
আমার দিন যে গেল সন্ধ্যা হলো
তবু না কূল পাই \

পদ্মারে তোর তুফান দেইখা পরান কাঁপে ডরে
তুই আমারে মারিস না তোর সর্বনাশা ঝড়ে।

পদ্মা তীরের মানুষের জীবন সংগ্রাম নিয়ে লেখা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসটির কথা স্মরণ করতে পারি। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে বিস্তীর্ণ পদ্মাতীর সংলগ্ন ‘কেতুপুর’ ও পার্শ্ববর্তী কতিপয় গ্রামের জেলেদের জীবনচিত্র বর্ণিত হয়েছে নিপুণ মুন্সিয়ানায়। নগর জীবনের সামান্য ছিটেফোঁটাও নেই এ উপন্যাসে। হতদরিদ্র জেলেদের জীবন সংগ্রাম উপস্থাপিত হয়েছে পদ্মা নদীর মাঝিতে। গল্পের পটভূমি বিবেচনা করলে বলা যায়, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ একটি আঞ্চলিক উপন্যাস। যদিও ‘পদ্মা নদীর মাঝি’তে ধীবর সমাজের জীবন সংগ্রাম আর ইলিশ শিকারের গল্পকে ছাপিয়ে কুবের-কপিলা এবং অন্যান্যের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার পাশাপাশি হোসেন মিয়ার স্বপ্ন ও নতুন পৃথিবীর আকাক্সক্ষা উচ্চারিত হয়েছে।
পদ্মা নদীকে নিয়ে সাহিত্য সৃষ্টির সন্ধান করতে গিয়ে সহজেই আমাদের বুকে বেজে ওঠে নজরুলের সেই ভুবনবিজয়ী গান। কাজী নজরুল ইসলামের গানে পদ্মা নদীকে ঘিরে এক গভীর হাহাকার অনুরণিত হতে দেখি; আসুন স্মরণ করি সেই গান-

পদ্মার ঢেউ রে-
মোর শূন্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে
এই পদ্মে ছিল রে যার রাঙা পা
আমি হারায়েছি তা’রে \

মোর পরান বঁধু নাই,
পদ্মে তাই মধু নাই- নাই রে-
বাতাস কাঁদে বাইরে-
সে সুগন্ধ নাই রে-
মোর রূপের সরসীতে আনন্দ-মৌমাছি নাহি ঝঙ্কারে \

ও পদ্মা রে ঢেউয়ে তোর ঢেউ ওঠে যেমন চাঁদের আলো
মোর বঁধুয়ার রূপ তেমনি ঝিলমিল করে কৃষ্ণ-কালো
সে প্রেমের ঘাটে ঘাটে বাঁশী বাজায়
যদি দেখিস্ তারে- দিস এই পদ্ম তার পায়
বলিস কেন বুকে আশার দেয়ালী জ্বালিয়ে
ফেলে গেলি চির-অন্ধকারে \

আবার একটু ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে আসি : পদ্মার ইলিশ আর পদ্মার রূপ, দুই-ই যেন ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসের প্রাণ। ইলিশ যেন পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের নেপথ্যচারী চরিত্র, সামান্য সময়ের জন্য দৃশ্যমান হয়েও সর্বত্র বিরাজমান। আমরা যদি লক্ষ করে দেখব, উপন্যাসটি শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার বর্ণনা দিয়ে; একটু পড়ে নিই- ‘বর্ষার মাঝামাঝি। পদ্মার ইলিশ মাছ ধরার মরসুম চলিয়াছে। দিবারাত্রি কোন সময়েই মাছ ধরবার কামাই নাই। সন্ধ্যার সময় জাহাজঘাটে দাঁড়াইলে দেখা যায় নদীর বুকে শত শত আলো অনির্বাণ জোনাকির মতো ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। জেলে-নৌকার আলো ওগুলি। সমস্ত রাত্রি আলোগুলি এমনিভাবে নদীবক্ষের রহস্যময় মøান অন্ধকারে দুর্বোধ্য সঙ্কেতের মত সঞ্চালিত হয়। এক সময় মাঝরাত্রি পার হইয়া যায়। শহরে, গ্রামে, রেল-স্টেশনে ও জাহাজঘাটে শ্রান্ত মানুষ চোখ বুজিয়া ঘুমাইয়া পড়ে। শেষরাত্রে ভাঙা ভাঙা মেঘে ঢাকা আকাশে ক্ষীণ চাঁদটি উঠে। জেলে-নৌকার আলোগুলি তখনো নেভে না। নৌকার খোল ভরিয়া জমিতে থাকে মৃত সাদা ইলিশ মাছ। লণ্ঠনের আলোয় মাছের আঁশ চকচক করে, মাছের নিষ্পলক চোখগুলিকে স্বচ্ছ নীলাভ মণির মত দেখায়।’
সমাজতান্ত্রিক ভাবাদর্শে দীক্ষিত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে পদ্মা তীরের দরিদ্র মাঝিদের জীবনালেখ্য উপস্থানের পাশাপাশি তার স্বপ্নের ‘ময়নাদ্বীপের’ কথা নিপুণভাবে তুলে এনেছেন। এবং আমার বিশ্বাস স্বপ্নের ময়নাদ্বীপ দীর্ঘদিন ধরে বাংলার অনুসন্ধানী পাঠককেও স্বপ্নপ্রবণ করে তুলছে। এ কথা যেমন সত্য, ততটাই সত্য আমাদের চোখে দৃশ্যমান বাঙালির এক নতুন স্বপ্নগাথা, যে স্বপ্ন ছাপিয়ে গেছে অতীতের অসংখ্য স্বপ্নগাথার গৌরব; যে স্বপ্নের ডাক নাম ‘পদ্মা সেতু’। আমি তার নাম দিয়েছি ‘বাংলার আধুনিক মহাকাব্য’। আমাদের এ নতুন মহাকাব্যের কথা সামান্য বলেই আজকের রচনা শেষ করতে চাই।

পুরাণের সেই অপ্রতিরোধ্য ‘পদ্মা’, আবদুল আলিম-আবদুল লতিফের সেই সর্বনাশা পদ্মা, নজরুলের সেই ব্যথিত জলপ্রবাহ পদ্ম নদী; অথবা মানিকের মাঝিরা ও হোসেন মিয়া; স্বপ্ন বুনন প্রশ্নে সবাই যেন তাকিয়ে আছে ‘পদ্মা সেতু’র দিকে। পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বে এত বেশি আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, যে কারণে দীর্ঘসময় ধরে পদ্মা সেতু বাঙালির মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। নানান ষড়যন্ত্রের মুখে পদ্মা সেতুর নির্মাণ নিয়ে কেবল সাধারণ মানুষ নয়, স্বয়ং তৎকালীন অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই যখন সংশয় প্রকাশ করেছেন; সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই যখন সমালোচনায় মুখর; পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক যখন নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে; সমগ্র জাতি যখন সরকারের উদ্যোগ নিয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে উঠছে; ঠিক তখন, বাঙালি জাতিকে লজ্জামুক্ত করতে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইস্পাত-দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করলেন- ‘আমরা নিজেদের অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করব!’ শেখ হাসিনার সে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির বুকে বুকে ছড়িয়ে গিয়েছিল স্বপ্ন। সে ঘোষণা জাতিকে আশান্বিত করল- উজ্জীবিত করল। অভিজ্ঞ মহল সেদিন উপলব্ধি করল, বাঙালি জাতির গৌরবের উষ্ণীষে যোগ হতে চলেছে গৌরবের এক নতুন পালক। অতঃপর উন্মত্তা পদ্মার বুকে যখন ক্রমশ দৃশ্যমান হতে থাকল পদ্মা সেতু, জাতি তখন উৎসব করে নিজেদের গৌরব দেখতে ভিড় করল পদ্মা সেতু দেখতে। আজ যখন আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মুখোমুখি তখন নিশ্চিত করে আমরা বলতে পারছি; ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি যেমন নিজেদের শৌর্যের প্রমাণ করেছিল; ১৯৭১-এ বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে চমকে দিয়েছিল বিশ্বকে; ১৯৭৪-এ জাতিসংঘের সাধারণ সভায় বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে বিশ্ব সভাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বাঙালির অহংকার-গৌরব; একইভাবে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর উভয় পাড়ের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করে, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো অবকাঠামো নির্মাণের কাজটি শেষ করে যে সাহসিকতা ও আত্মপ্রত্যয়ের দৃষ্টান্ত রেখেছেন তাতে বাঙালি হিসেবে আমাদের সবার মুখ উজ্জ্বল হয়েছে। সমস্ত ষড়যন্ত্র, প্রতিরোধ আর বিরোধিতা পেরিয়ে পদ্মা সেতু আজ পৃথিবীর মানচিত্রে দৃশ্যমান। ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছিল, তা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। এবারে জাতির অপেক্ষা সেই মাহেন্দ্রক্ষণের; অপেক্ষা গৌরব উদযাপনের মুহূর্তটির জন্য; অপেক্ষা নবতর ‘মহাকাব্য’ পাঠের। বাংলা মায়ের সন্তান হিসেবে আমাকে অহংকার করার মতো সম্মান এনে দেবার জন্য আমাদের আত্মপ্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা উন্নয়ন ও সম্ভাবনার প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও অভিবাদন জানাতে চাই। জয় বাংলা!

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়