র‌্যাব মহাপরিচালক : নাশকতার তথ্য নেই তবুও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছি

আগের সংবাদ

বাংলাদেশের গর্ব, বিশ্বের বিস্ময় : জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে যেভাবে ডানা মেলল স্বপ্নের পদ্মা

পরের সংবাদ

দিনে গড়ে পাঁচ ধর্ষণ : পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : প্রতিদিন অন্তত চার থেকে পাঁচটি ধর্ষণের মামলা দায়ের হচ্ছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কোনো না কোনো থানায়। সেই সঙ্গে পুলিশের কাছে খাতা-কলমে অভিযোগ লেখাতে চায় না এমন পরিবার তো আছেই। নারীদের উপরে যৌন অত্যাচার, অপহরণ, খুনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে। সেই জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোটা প্রদেশেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার প্রাদেশিক সরকার।
পাক-পঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আট্টা তারার স¤প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলা বাড়তে থাকায় সরকার বিচলিত। সরকারি পরিসংখ্যান দেখে তিনিই দিনে অন্তত চার থেকে পাঁচটি করে ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়ার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা জানান মন্ত্রী। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথাও ভাবা হয়েছে বলে জানান তিনি। এর অংশ হিসেবে ফাস্ট ট্র্যাক পদ্ধতির ভিত্তিতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের দিকেও জোর দিচ্ছে সরকার।
তারার আরো জানান, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা করবে সরকার। সেই সঙ্গে সাহায্য চাওয়া হয়েছে নাগরিক সমাজ, নারী অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত সংগঠন, শিক্ষক সংগঠন এবং আইনজীবীদেরও। কী ভাবে নারীদের উপরে হওয়া নির্যাতন কমানো যায়, তার উপায় বার করতে সরকারি ভাবে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে এই সব সংগঠনের কাছ থেকেও। মন্ত্রী জানান, সেই সঙ্গে সতর্ক করা হচ্ছে ছোট ছোট মেয়ে, নাবালিকা বা যুবতীদের বাবা-মায়েদেরও।
কী ভাবে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তার প্রাথমিক পাঠ যাতে অভিভাবকেরাই নিজেদের কন্যা সন্তানদের দেন, সেই আর্জিও জানান মন্ত্রী। স্কুল-কলেজে পাঠরত ছাত্রীরা যাতে কোনো ধরনের হিংসার শিকার না হতে পারে, সে দিকেও নজর দেয়া হচ্ছে বলে জানান তারার।
নারী স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বে পাকিস্তানের নাম বরাবরই অনেক নীচের দিকে থাকে। গত বছর ‘গেøাবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স’-এ ১৫৬টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের নাম ছিল ১৫৩ নম্বরে। পাকিস্তানের নীচে রয়েছে মাত্র তিনটি দেশ- ইরাক, ইয়েমেন এবং আফগানিস্তান। শুধুমাত্র ধর্ষণ বা অপহরণই নয়- কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা, পারিবারিক হিংসার ঘটনাও গোটা দেশে ক্রমবর্ধমান। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, ঠিক সময়ে অভিযোগ জানিয়েও সুবিচার পান না নির্যাতিতারা। তার জন্য মূলত দেশের পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক গঠনকেই দায়ী করছে নারী অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত সংগঠনগুলি। নায়াব গহর জান নামে এমনই এক নারী অধিকার রক্ষা কর্মী জানালেন, মহিলাদের উপরে কোনো নির্যাতন হওয়ার পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো থেকে শুরু করে বিচার ব্যবস্থায় গোটা প্রক্রিয়াটাই এমন ভাবে সাজানো হয়ে থাকে যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তদের ধরা যায় না, বিচার পান না নির্যাতিতারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়