র‌্যাব মহাপরিচালক : নাশকতার তথ্য নেই তবুও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছি

আগের সংবাদ

বাংলাদেশের গর্ব, বিশ্বের বিস্ময় : জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে যেভাবে ডানা মেলল স্বপ্নের পদ্মা

পরের সংবাদ

ঢাবির চারুকলায় ‘পরম্পরা ছাপচিত্র’ প্রদর্শনী উদ্বোধন

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী উৎসব শুরু হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে ‘পরম্পরা ছাপচিত্র’- শীর্ষক প্রদর্শনী উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চারুকলা অনুষদের প্রিন্টমেকিং বিভাগ ও চারুকলা অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের যৌথ আয়োজনে ‘শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদ জন্মশতবর্ষ-২০২২’- শীর্ষক প্রদর্শনী গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়। এই প্রদর্শনী আজ শুক্রবার পর্যন্ত চলবে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ‘পরম্পরা ছাপচিত্র’ উদ্বোধন করেন চিত্রশিল্পী অধ্যাপক রফিকুন নবী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে শিল্পকলার ইতিহাসে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এবং শিল্পী কামরুল হাসানের পর শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদের অবস্থান। তিনি ছিলেন ছাপচিত্রের পথিকৃৎ। ৭২ বছর ধরে তিনি ছবি, তৈলচিত্র, রেখাচিত্র এঁকেছেন। কলকাতা আর্ট স্কুলে মেধায় দুজন শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন একজন শিল্পাচার্য আরেকজন শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদ। তার ছাপচিত্রে পরিচ্ছন্নতার বোধ ছিল। এটি ছিল তার লেগে থাকার সততা। তিনি পারাবত তৈলচিত্র নিয়ে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার পেয়েছিলেন। ছাপচিত্রের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
এ সময় চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী বলেন, আমি যদি একটু আলোকিত হয়ে থাকি সেটি স্যারের মাধ্যমে।

উনি যে শুধু আমাদের বা উপমহাদেশের শিল্পী ছিলেন তা নয় বরং এ উপমহাদেশের বাইরেও তার নামডাক ছিল। বাংলাদেশে শিল্পকলার যে চর্চা এ সমস্ত কিছুর মূলে আমাদের যে চার পাঁচজন শিল্পী জড়িত ছিলেন তার মধ্যে সফিউদ্দীন স্যারের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। তার শততম জন্মদিন পালন করে নিজেদের গর্বিত করছি। এরমধ্য দিয়ে আমরা শুধু ব্যক্তি সফিউদ্দীন আহমেদকে নয়, তার কর্ম সাধনা, শিল্প অবদান সবকিছু মিলিয়ে তাকে স্মরণ করছি।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম, শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদ চত্বরের কর্ণধার ও শিল্পীপুত্র আহমেদ নাজির, জন্মশতবর্ষ ২০২২ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক শিল্পী অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানা, সদস্য সচিব শিল্পী ?অধ্যাপক মো. আনিসুজ্জামান, প্রিন্টমেকিং বিভাগের চেয়ারম্যান শিল্পী শেখ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ছেলে প্রকৌশলী মইনুল আবেদিন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়