চট্টগ্রাম অফিস : পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে যারা বসতি স্থাপন করে বসবাস করছেন তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের স্থানীয় কেউ নেই; তাদের ৮০ শতাংশই বহিরাগত বলে মন্তব্য করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির ‘মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায়’ সভাপতির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, পাহাড়ে দখলকারীরা কেউ পাহাড়ে থাকছে না। বসবাসকারী কেউ নিজের দখলে নাই। পাহাড়ে অবৈধভাবে ও ঝুঁকি নিয়ে যারা বসবাস করছে তারা প্রত্যেকে দুই হাজার, পাঁচ হাজার, আঠারো হাজার টাকা দিয়েও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছে। আর তারা বেশিরভাগই বহিরাগত; চট্টগ্রামের স্থানীয় কেউই নেই। দেশের আইনকানুন সবাইকে মেনে চলতে হবে। যে যেভাবে পারে সেভাবে বসবাস করতে পারবে না।
তিনি বলেন, জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে একটা মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে স্পোর্টস কমপ্লেক্স, কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর করা হবে, মডেল মসজিদ হবে, জাতীয় তথ্যকেন্দ্র, নভোথিয়েটার ও ইকোপার্ক হবে। জঙ্গল সলিমপুরে কেউ অবৈধভাবে থাকতে পারবে না। জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে যারা মামলা মোকদ্দমা করছেন তাদের বলতে চাই, সরকারের চেয়ে ক্ষমতাশালী কেউ নেই। জঙ্গল সলিমপুরে যারা বসবাস করছেন, তাদের পুনর্বাসন করা হবে।
কুরবানির পশুর হাট বসানো প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, কুরবানির পশুর হাটকেন্দ্রিক কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। সরকারি নিয়ম মেনেই কুরবানির পশুর হাট বসাতে হবে এবং যত্রতত্র পশুর হাট বসালেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানার মালিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি দেয়ার আগে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করুন, হোক সে দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।