র‌্যাব মহাপরিচালক : নাশকতার তথ্য নেই তবুও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছি

আগের সংবাদ

বাংলাদেশের গর্ব, বিশ্বের বিস্ময় : জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে যেভাবে ডানা মেলল স্বপ্নের পদ্মা

পরের সংবাদ

কংগ্রেসম্যান গালাহার : পূর্ব পাকিস্তানে আসলে কী ঘটছে?

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কংগ্রেসম্যান কর্নেলিয়াস এডওয়ার্ড গালাহার বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে মার্কিন এবং বিশ্বজনমত গঠনে এবং মার্কিন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। ১৭ অক্টোবর ২০১৮ তিনি ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম বিষয়টি লক্ষ করেনি অথবা সাধারণভাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার কথা স্মরণ করে গালাহারের মৃত্যু সংবাদ এড়িয়ে গেছে।
স্বজনদের কাছে নিল গালাহার নামে পরিচিত ডেমোক্র্যাট দলের এই রাজনীতিবিদের জন্ম ২ মার্চ ২৯২১ নিউ জার্সিতে। তিনি জন মার্শাল কলেজ এবং জন মার্শাল ল স্কুল থেকে দ্বৈত স্নাতক, আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন হিসেবে একটি ইনফ্যান্ট্রি রাইফেল কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন, কোরিয়ান যুদ্ধেও অংশ নেন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত সাতবার নিউ জার্সি থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান ছিলেন তিনি। এফবিআইর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় তিনি হেনস্তার শিকার হন। শুরু থেকে তিনি তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানের সামরিক নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন। শরণার্থীদের অবস্থা সরজমিন পরিদর্শনের জন্য ভারতে এসে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি শরণার্থী শিবির প্রত্যক্ষ করেন এবং বহুসংখ্যক শরণার্থীর বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন। ১০ জুন ১৯৭১ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ দীর্ঘ বিবৃতি দেন এবং মার্কিন বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখেন : পূর্ব পাকিস্তানে আসলে কী ঘটছে? নিল গালাহারের বিবৃতির সংক্ষিপ্ত ও নির্বাচিত অংশ ভাষান্তর করে উপস্থাপিত হচ্ছে। তখন কংগ্রেসের স্পিকার ছিলেন কার্ল আলবার্ট (১৯০৮-২০০০) হাউসে তখন ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল আর সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল রিপাবলিকানদের। কার্ল আলবার্ট ২১ জানুয়ারি ১৯৭১ থেকে ৩ জানুয়ারি ১৯৭৭ পর্যন্ত স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
মিস্টার স্পিকার, সাধারণভাবে পূর্ব পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির কথা এবং বিশেষভাবে সম্প্রতি শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর আমার অভিজ্ঞতার কথা আজ উপস্থাপন করব।
আমাকে শুধু এটা বলতে দিন পরিস্থিতি আমরা যা ভেবেছি তার চেয়ে অনেক বেশি খারাপ। পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির সদস্য হিসেবে বিদেশে কী হচ্ছে আমি ১২ বছর ধরে দেখে আসছি। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সাব-কমিটির মে মাসের ২ দিনের শুনানিতে গণহত্যা নির্মমতা এবং অবর্ণনীয় মানবিক বিপর্যয়ের যে কথা শুনেছি, আমাকে স্বীকার করতে হবে তখন আমার কাছে এটা অতিরঞ্জিত বিবরণ মনে হয়েছিল। আজ আমি আমার সহকর্মীদের বলতে চাই, সেদিনের বর্ণনা মোটেও অতিরঞ্জিত ছিল না, নৃশংসতা ও গণহত্যার অতি সামান্যই তাতে উঠে এসেছে। পূর্ব পাকিস্তানের সংকট যে ভয়ংকর মাত্রার ও আতঙ্কজনক, তা কেবল যুক্তরাষ্ট্র সরকার সমাধান করতে পারবে বলে আমি করি না; এটা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারও নয়। এই সংকট এখন ভারত উপমহাদেশের শান্তির হুমকি, কমিউনিস্ট প্রণোদিত আন্দোলনের উর্বর জন্মভূতি, মানববৃত্তির যা কিছু উত্তম তার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ এবং মানুষের নৈতিক পছন্দকে ভয়ংকর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি মানুষের এই অমানবিক দুর্যোগে আমাদের চোখে কে নায়ক আর কে খলনায়ক তার অনুসন্ধান ব্যর্থ হতে বাধ্য। আমার বক্তব্যের উল্লেখযোগ্য অংশই ২৫ মার্চ ১৯৭১ রাত থেকে শুরু করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে নৃশংসতা চালিয়েছে তা নিয়ে। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মাঝখানে ১১০০ মাইলের ব্যবধান, মাছখানের পুরোটাই ভারতের ভৌগোলিক সীমানায় আর এখন আমরা জেনে গেছি সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও আধ্যাত্মিকভাবে তাদের ব্যবধান দুস্তর। গত ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ স্পষ্ট বিজয়ী, তারা বেসামরিক শাসনের সংবিধান প্রণয়ন করবে। পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ আসনের ১৬৭টি পেয়েছে আওয়ামী লীগ, উভয় অংশের সঙ্গে মিলিয়েও এটাই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, এমনকি সামরিক প্রশাসনের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে অন্তত ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। ডিসেম্বরের নির্বাচনের ফলাফলের পরপরই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া এই দলের প্রধানকে বলেছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এবং তিনিই সরকার গঠন করবেন। আমাদের স্মরণ রাখা দরকার আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিজয়ী নিরঙ্কুশ জনসমর্থন নিয়ে, কাজেই তাদের কোনোভাবেই বিচ্ছিন্নতাবাদী বা বিদ্রোহী বলার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ প্রধান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কথার ওপর আস্থা রেখেছিলেন যে পদ্ধতিগতভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। তিনি কখনো বিচ্ছিন্নতার কথা বলেননি। বলেছেন পাকিস্তানের সব প্রদেশের জন্য একই ধরনের গণতান্ত্রিক স্বায়ত্তশাসন এবং কেন্দ্রে নমনীয় ফেডারেশন।
ইয়াহিয়ার সঙ্গে আলোচনা কেন ভেঙে গেল সম্ভবত পৃথিবীর তা কখনো জানা হবে না। যে বিশ্বাস নিয়ে আওয়ামী লীগ আলোচনায় বসেছিল তা ভেঙে যায় এবং সেনাবাহিনীর আক্রমণের আগে তাদের নেতারা ‘বাংলা দেশ’ প্রস্তাবের ওপর জোরও দেননি।
এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স-এর শুনানিতে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর রবার্ট ডর্ফম্যান বৈষম্যের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। পাকিস্তানের দুই অংশে সম্পদ বরাদ্দকরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বৈষম্যের প্রামাণিক চিত্র তুলে ধরে কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিয়েছেন। পশ্চিম পাকিস্তানের দুর্ভাগ্যজনক অদূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি অর্থনৈতিক বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছে, এমনকি আমেরিকান সাহায্য বরাদ্দের প্রশ্নেও তারা একই দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বন করেছে। কার্যত পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তানের উপনিবেশ বিবেচনা করে অস্থিতিশীলতা ও উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
নজিরবিহীন সহিংসতা
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের মুখপাত্র দাবি করেছে দ্রুত পতনশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করতে ২৫ মার্চ সেনাবাহিনীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে আর তাতে পূর্বাঞ্চল অখণ্ড পাকিস্তানের অংশ হিসেবে স্বাভাবিকভাবে বিরাজ করছে।
দুটো সাধারণ ঘটনা পাকিস্তানি বক্তব্যের অসারতা দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে :
প্রথমত পাকিস্তানের নির্মম নীতিমালার প্রয়োগের কারণে লাখ লাখ পূর্বাকর্মীর শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে, অথচ তারাই সাধারণ নির্বাচনের নিরঙ্কুশ বিজয়ী; দ্বিতীয় হিন্দু শরণার্থীর অবিশ্বাস্য সংখ্যা বৃদ্ধি প্রমাণ করে তারা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। এখন ৫০ লাখ শরণার্থী ভারতে অবস্থান করছে এবং প্রতিদিন হাজার হাজার শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে। শরণার্থীদের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে আমি যে সাক্ষাৎকার নিয়েছি তাতে আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছি তারা পরিকল্পিতভাবে বাঙালি সম্প্রদায়ের বুদ্ধিবৃত্তিক জীবন ধ্বংস করে দেয়ার, ছাত্র-শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ হত্যার পরিকল্পিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে আর আমার বিচারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গণহত্যার যে অভিযোগ তা যথার্থ বলেই প্রতিষ্ঠিত হয়।
তাছাড়া হিন্দু শরণার্থীর আকস্মিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণ পদ্ধতিগত সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম যাতে সেনাবাহিনী সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার আগুন জ¦ালাতে উৎসাহিত করছে। একটি উত্তেজনা আগে থেকেই বিরাজমান ছিল, কারণ সংখ্যালঘু হলে এক কোটি বাঙালি হিন্দু পূর্ব পাকিস্তানের অবাঙালিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযানে অংশগ্রহণ করেনি।
মানবজাতির অভ্যন্তরীণ বিষয়
যে যুক্তিটি সামনে নিয়ে আসা হয়েছে তা হচ্ছে বিষয়টি পাকিস্তানের একান্তই অভ্যন্তরীণ, এখানে বিশ্বসম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই এবং তা করাও উচিত নয়। আমাকে আবার শরণার্থী প্রসঙ্গে আসতে হচ্ছে যে, অভ্যন্তরীণ নীতিমালা ৫০ লক্ষাধিক শরণার্থী সৃষ্টি করার মতো পর্যাপ্ত সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে যারা প্রতিবেশী দেশে প্রাণের ভয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে তাকে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলা যায় না। প্রতিদিন যেখানে এক লাখ হতভাগ্য মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসছে তা বিশ্ববাসীর যুক্তিসঙ্গত উদ্বেগের কারণ হতে পারে এই যুক্তিও পরিত্যাজ্য। মিস্টার স্পিকার, এটা স্পষ্ট পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থিতি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নয়। এর সঙ্গে আমি এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় শরণার্থী-বিষয়ক ১১ মে’র সভায় সিনেটের কেনেডি শপথপূর্বক যে বক্তব্য দিয়েছেন সেখান থেকে আমি উদ্ধৃত করতে চাই :
আমাদের সরকারের কেউ কেউ বলেন নিরপেক্ষতার দোহায় দিয়ে আমাদের এই সমস্যার সঙ্গে জড়িত হওয়া উচিত নয়। কিন্তু বাস্তবে আমরা জড়িত হয়ে গেছি। সন্ত্রাস ও সহিংসতায় জড়িত আমাদের অস্ত্র। আমাদের সাহায্য এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন করে যাচ্ছে। আর আজ আমাদের সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তাদের আরো সাহায্য দিতে হবে- কাজেই আমরা জড়িত।
সিনেটের কেনেডির বক্তব্য প্রদানের পর শরণার্থীর প্রবাহ বেড়ে এখন ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সাব-কমিটিতে প্রদত্ত সাক্ষ্য প্রমাণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সাহায্য নিয়েই পশ্চিম পাকিস্তান পূর্বাংশকে শোষণ করছে। আমাদের প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার সাহায্য পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের অবর্ণনীয় দুর্দশার কারণ হয়েছে। একটি উদাহরণ দেয়া যায়- গত শীতে হারিকেন ও বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে বোট অনুদান হিসেবে দিয়েছে তা পাকিস্তান ব্যবহার করছে সৈন্য পরিবহন এবং গ্রামাঞ্চলে হত্যাকাণ্ড চালাবার অভিযানে। আমি বলতে চাই এমন আরো বহু উদাহরণ এটাই প্রমাণ করবে যে, বিষয়টি কোনোভাবেই পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নয়, বরং এটা মানবজাতির অভ্যন্তরীণ বিষয় : ছদ্ম বৈধতার দোহাই দিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের পিছু হটার সুযোগ নেই।
সামরিক সরকারকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে হবে
মিস্টার স্পিকার, যেখানে ট্র্যাজেডির যে আকার ও প্রকৃতি সেখানে সামরিক সরকারকে অন্যান্য সহায়তা প্রদান না করতে চাপ দেয়া নির্মম মনে হতে পারে। পূর্ব পাকিস্তানিদের অবর্ণনীয় দুর্দশার কথা জানেন তাদেরও কেউ কেউ মনে করেন পাকিস্তান সরকার সাহায্য প্রদান এবং সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি- দুই-ই অব্যাহত রাখা দরকার। সামরিক সহায়তা, আর্থিক সহায়তা এবং খাদ্য সহায়তা- একই দৃষ্টিতে বিচার করা সমীচীন হবে না। কিন্তু পাকিস্তান পূর্বাংশে যে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তাতে দৈনিক খরচ ২ মিলিয়ন ডলার; এমনকি পাকিস্তান যখন সবচেয়ে ভালো অবস্থায় থাকে তখনো তার পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় থাকে না। কাজেই পূর্ব পাকিস্তানে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমেরিকা কিংবা বিশ্বব্যাংকের অর্থ সহায়তা তার চাই। সম্প্রতি ইয়াহিয়া খান সমঝোতার স্বরে কিছু বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং আমার ধারণা জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করছেন। আমাদের অবশ্য নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালাতে আমরা অর্থায়ন কিংবা হ্রাসকৃত মূল্যে সরবরাহ করতে পারি না।
সাব-কমিটিতে প্রদত্ত সাক্ষ্যে প্রফেসর ডর্ফম্যান বলেছেন, পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার পূর্বশর্তই হচ্ছে মার্কিন সহায়তা। কাজেই স্বাধীন পর্যবেক্ষক যতক্ষণ না প্রত্যয়ন করছেন যে, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিমালায় পরিবর্তন এসেছে, আমাদের সব ধরনের সহায়তা বন্ধ রাখতে হবে।

ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়