গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত : বন্যার কারণে বেড়ে যেতে পারে ডাকাতি আশঙ্কা পুলিশের

আগের সংবাদ

আ.লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

পরের সংবাদ

মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন জহির আব্বাস

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন এশিয়ার ব্র্যাডম্যান হিসেবে পরিচিত জহির আব্বাস। তার পরিবারের সূত্র ধরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের রাজধানীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আছেন তিনি। তাকে রাখা হয়েছে হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা বিভাগে। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে লন্ডন যান ৭৪ বছর বয়সি এই তারকা। সেখানে কোভিড টেস্টে পজিটিভ হন। এর জেরে কিডনির সমস্যার পাশাপাশি নিউমোনিয়ায় ভুগতে হচ্ছে সাবেক অধিনায়ককে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জহির আব্বাসকে। তখনই তাকে নিতে হয়েছিল অক্সিজেনের সাহায্য। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কিডনির সমস্যার কারণে বর্তমানে তার ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছে। আর এখন ডাক্তাররা তাকে কারও সঙ্গে দেখা করারও অনুমতি দিচ্ছেন না।
খেলোয়াড়ি জীবনে রান করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল জহির আব্বাসের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি ছিল তার। সে কারণে ‘এশিয়ান ব্র্যাডম্যান’ উপাধিও পেয়ে গিয়েছিলেন সাবেক পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। এছাড়া খেলোয়াড়ি জীবন শেষে আইসিসির সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন জহির আব্বাস। নিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৭৪ রান করেন। যা তখনো পর্যন্ত পাকিস্তানিদের পক্ষে ৫ম সেরা রানের রেকর্ড। পুরো খেলোয়াড় জীবনে তিনি ৪টি দ্বি-শতক রান করেন। সর্বশেষটি করেন ১৯৮৩ সালে ভারতের বিপক্ষে। ধারাবাহিকভাবে টেস্টে ৩টি শতকসহ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একশত সেঞ্চুুরি করেছেন আব্বাস।
টেস্ট ক্রিকেটসহ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জিওফ্রে বয়কটের সঙ্গে সেঞ্চুরিতে ভাগাভাগি করেন। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন ৭৮ টেস্ট। ১২ শতক ও ২০ অর্ধশতকে তার রান ৫০৬২। টেস্টে সর্বোচ্চ রান ২৭৪। এছাড়া ৬২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। ৭টি শতক এবং ২২টি অর্ধশতকে ওয়ানডেতে তার রান ২ হাজার ৫৭২। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে করেছেন ৭ হাজার ৬৩৪ রান। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন ১৯ বার। একমাত্র এশিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করেছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার।
১৯৮৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে অবসর গ্রহণ করেন আব্বাস। এরপর একটি টেস্ট ও ৩টি ওডিআই ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭২ সালে উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনকে প্রবর্তিত বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়াও ১৯৮৬ সালে ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় প্রাইড অব পারফরম্যান্স হন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়