গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত : বন্যার কারণে বেড়ে যেতে পারে ডাকাতি আশঙ্কা পুলিশের

আগের সংবাদ

আ.লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

পরের সংবাদ

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন : আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপির

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের কথা স্পষ্ট, যারা মানুষ হত্যা করে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে পানিতে ফেলে দেয়ার কথা বলে, দেশের সম্মানীয় ব্যক্তিদের পানিতে চুবিয়ে মারতে চায় তাদের আমন্ত্রণে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী কখনো যেতে পারে না।
গতকাল বুধবার গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে বিএনপির সাত নেতাকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের ?উপসচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। তবে যে সাতজনকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে তার মধ্যে নেই দলীয়প্রধান খালেদা জিয়ার নাম।
আমন্ত্রণ পাওয়া অন্য নেতারা হলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
পদ্মা সেতুর কাজ বিএনপি বন্ধ করে দিয়েছিল- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকেও প্রধানমন্ত্রী তার স্বভাবসুলভ মিথ্যাচার করেছেন। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, বিএনপি-জোট সরকার তখন জাপানের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাথমিক সমীক্ষা করে। এ সময় প্রমাণ হিসেবে সমীক্ষার পুরো ফাইলপত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, একটা ফিজিবিলিটি রিপোর্ট অফিসিয়ালি দেয়ার পরেও কী করে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলতে পারেন যে, বিএনপি গভর্নমেন্ট আসার পর এটাকে বন্ধ করে দেয় এবং কোনো কাজ করেনি। এই ফিজিবিলিটি রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই তারা পরবর্তীকালে কাজ করেছেন। তখনই পদ্মা সেতুর ফান্ডের বিষয়ে এডিবি, বিশ্বব্যাংক ও জাপান যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে সেটা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলে যাচ্ছেন বিএনপি সরকার এটা বন্ধ করে দিয়েছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিতে নেতৃত্বের শূন্যতা নেই। খালেদা জিয়াই আমাদের নেতা। তার অনুপস্থিতিতে তারেক রহমান আমাদের নেতা। কাজেই বিএনপির প্রধানমন্ত্রী কে হবেন এর চেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারকে সরে যেতে হবে। তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়