গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত : বন্যার কারণে বেড়ে যেতে পারে ডাকাতি আশঙ্কা পুলিশের

আগের সংবাদ

আ.লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

পরের সংবাদ

তদন্ত কমিটি গঠন : মাঝরাতে রিজভী কেন ঢাবি ক্লাবে

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্লাবে গত ১৯ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অবস্থানে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও নীল দলের সিনেট সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রহীম বলেন, আমরা গত সোমবার ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। সেখানে ক্লাবের সভাপতির কাছে মৌখিক ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ক্লাবের অনেক সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত সত্য উদঘাটনে ক্লাবের সহ-সভাপতি ও ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছারকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ। কমিটিতে নীল দল এবং সাদা দলের দুইজন করে শিক্ষক আছেন বলে জানান অধ্যাপক রহীম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার রাতে ক্লাবের সভাপতি বিএনপি সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষক ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের আমন্ত্রণে রুহুল কবির রিজভী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে যান। সেখানে রাত ১টা পর্যন্ত তিনি অবস্থান করেন। এ সময় রিজভীর সঙ্গে তার স্ত্রী এবং কয়েকজন বন্ধু ছিলেন।
এ ঘটনায় অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, রাতে ক্লাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অতিথিরা আসেন। খাওয়া-দাওয়া করেন। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ক্লাবের সভাপতি। আমার আমন্ত্রণেও রিজভীসহ কিছু অতিথি এসেছিলেন। এখানে কোনো গোপন বৈঠক হয়নি।
তিনি বলেন, অতিথিদের আগমনসহ সমগ্র ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আছে। কেউ গোপন বৈঠকে এলে স্ত্রীকে নিয়ে আসবেন না এটাই স্বাভাবিক। আমরা যখন ক্লাবে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন অন্য রুমে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরাও ছিলেন। রাতে ক্লাবে এ রকম অতিথি সব শিক্ষকেরই আসে। আমরা তো কখনো এ নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি? মূলত হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ইউট্যাবের একটি ঘরোয়া দাওয়াতে আমি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও তিনজন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলাম। এখানে যদি নাশকতার কোনো পরিকল্পনা করা হতো, তাহলে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতার মধ্যে কীভাবে আমরা ডাইনিং কক্ষে গিয়ে বসলাম। এটিকেই এখন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং তাদের দল-দাস কিছু শিক্ষক।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি এবং সিলেটসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বন্যা মোকাবিলায় ব্যর্থতা, প্রচণ্ড মূল্যস্ফীতির কারণে দ্রব্যমূল্য হু হু করে বেড়ে যাওয়ার কারণে সরকারবিরোধী দলের সমালোচনাকে দমন করার লক্ষ্যে দলবাজ কিছু শিক্ষক ও মিডিয়ায় নাশকতার অপপ্রচারের ধূম্রজাল সৃষ্টি করে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই নাটক শুরু করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়