গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত : বন্যার কারণে বেড়ে যেতে পারে ডাকাতি আশঙ্কা পুলিশের

আগের সংবাদ

আ.লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

পরের সংবাদ

ইতিহাস থেমে থাকে না

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় ৯ জুন, ২০২২ তারিখে ‘সরকারের বক্তব্য ইতিহাসভিত্তিক নয়’ শিরোনামে এককালীন ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রবের বক্তব্যভিত্তিক একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। পরিবেশিত সংবাদে রবকে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রকৃত প্রস্তাবে ওইদিন অর্থাৎ ২ মার্চ ১৯৭১ সালে কোনো পতাকা উত্তোলিত হয়নি। একটি পতাকা প্রদর্শিত হয়েছিল, যে পতাকাটি ১৯৭০ সালের ৭ জুন ৬ দফা দিবসে পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতে প্রদান করা হয়েছিল। তাই প্রদর্শকের কৃতিত্বটি ১৯৭০ সাল থেকেই রবের প্রাপ্য। তবে বাংলাদেশের পতাকা ৩ মার্চ ও ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলিত হয়েছিল। তাই প্রদর্শকের স্বীকৃতি মিললে উত্তোলকদ্বয়ের স্বীকৃতিও আবশ্যক; যদিও রবের মতো তারা কোনোদিন সে দাবি তোলেননি।
দ্বিতীয় প্রসঙ্গটি হচ্ছে নিউক্লিয়াস। কথিত নিউক্লিয়াসের তিন শীর্ষ নেতা হিসেবে সিরাজ, রাজ্জাক ও আরিফকে চিহ্নিত করা হয়; যদিও নিউক্লিয়াস প্রসঙ্গে বর্ণিত তিন নেতার মধ্যে ২ জনের মতের গরমিল রয়েছে। এই দুজন প্রত্যক্ষভাবে আর সিরাজুল আলম খান পরোক্ষভাবে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের কথা স্বীকার করেন। এই পরিষদের স্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমান। এই থেকে উদ্ভূত কোনো শাখা বা সংগঠনই বঙ্গবন্ধুর জ্ঞাতার্থে ও সম্মতিতে সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানা গেছে। অতএব নিউক্লিয়াস প্রশ্নে সরকারের বক্তব্য ইতিহাসভিত্তিক নয় বলাটাই অ-ইতিহাসিক। আ স ম আবদুর রব, বাংলাদেশ নামকরণ, জাতীয় সংগীত এবং জয় বাংলা সেøাগানের উদ্ভাবক হিসেবে নিউক্লিয়াস ও তার রূপকার সিরাজুল আলম খানকেই সব কৃতিত্ব দিয়ে বসে আছেন। এই নিউক্লিয়াস প্রসঙ্গে রাজ্জাকের কথা প্রণিধানযোগ্য। তিনি সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে একবারও নিউক্লিয়াস কথাটা বলেননি; বলেছেন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের কথা, যার স্রষ্টা কাজী আরেফের মতে শেখ মুজিবুর রহমান, সেটা ১৯৬৫ সালের কথা; ১৯৬২ সালের কথা নয়। রাজ্জাক, সিরাজুল আলম খানকে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের প্রধান নেতা বা রূপকার বলেননি, বলেছেন তাত্ত্বিক। কাজী আরেফও প্রায় একই কথা বলেছেন এবং ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলনকালে তিনি নিজকে নিউক্লিয়াসের অন্যতম সদস্য ও নির্মূল আন্দোলনের রূপকার বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। তিনি আবদুর রাজ্জাককে নিউক্লিয়াসের অন্যতম সদস্য বললেও জনসভার ভাষণে কখনো সিরাজুল আলম খানের কথা বলেননি। সে সময় আমিও নিউক্লিয়াস সম্পর্কে তেমন গ্রহণযোগ্য কোনো কথা শুনিনি। শুনেছি পরে মহিউদ্দিনের ভাষ্যে।
সিরাজের মতে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ হলো নিউক্লিয়াসের অপর নাম। এ ব্যাপারে আমার অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এ কারণে একটা ভূমিকা হিসেবে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ও সিরাজুল আলম খানকে দৃশ্যপটে আনতে হচ্ছে। শাহ-মোয়াজ্জেমের মতে শেখ মুজিব সেই ১৯৬১ সালে পূর্ববঙ্গ বিপ্লবী ফ্রন্টের (ইবিএলএফ) পক্ষে স্বাধীনতার আহ্বান জানিয়ে নিজেই একটি লিফলেট প্রণয়ন ও মুদ্রণ করিয়ে তা শাহ মোয়াজ্জেমকে বিলি-বণ্টনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মোয়াজ্জেম নিজে ও অন্য চারজনকে দিয়ে সেই লিফলেট দূতাবাসগুলোর সামনে অতি সন্তর্পণে ছুড়ে ফেলে আসতেন। সেই লিফলেট বিতরণে শেখ ফজলুল হক মনি ও সিরাজুল আলম খানও ছিলেন। তবে সিরাজুল আলম বলেছেন দূতাবাসে নয় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও জগন্নাথ কলেজে সেগুলো বিতরণ করেছিলেন; তার দায়িত্ব ছিল ফজলুল হক হল। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের ডামাডোলের মধ্যে ফ্রন্টের ধারণাটা চলমান রাখতে সচেষ্ট থাকেন। এ ব্যাপারে আমি জেনেছি যে রফিকউল্ল্যাহ চৌধুরী, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, আবদুল ওয়াজেদ মিয়া ও তিনজন সিএসপি সহায়ক হিসেবে ছিলেন। ইংরেজিতে প্রকাশিত বিএলএফ সম্পর্কে এক ভাষ্যে কিছু তরুণ বুদ্ধিজীবীর কথা বলা আছে। আমি এটাও জেনেছি যে, তিনি এই ইস্ট বেঙ্গল লিবারেশন ফ্রন্টকে পরে বিএলএফ বা বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট নামকরণ করেন। ১৯৬২ সালের এই আন্দোলনকে সিরাজুল আলম খান বলেছেন ৩ বছরের ডিগ্রি প্রোগ্রাম বাতিলের আন্দোলন। আসলে তা প্রকাশ্যে ছিল তেমন কিছু, আসলে ছিল শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মুক্তির আন্দোলন এবং তার আরো গভীরে ছিল বিএলএফ বা বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্টকে সম্প্রসারণের প্রয়াস।
আগেই বলেছি সিরাজুল আলম খানের ভাষ্যে জানা যায় যে, স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ ও তাদের তিনজনের নিউক্লিয়াস একই মুদ্রার এপিঠ ও ওপিঠ ছিল। কাজী আরেফের ভাষ্যে জানা যায় শেখ মুজিবের পরামর্শে ও পরিচর্যায় তারা তিনজন প্রথমে স্বাধীন বিপ্লবী পরিষদ ও পরে নিউক্লিয়াস গঠন করেন। রাজ্জাক এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে (১৯৮৯) শুধু স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের কথা বলেছেন। সিরাজুল আলম ও রাজ্জাক উভয়ে আবুল কালাম আজাদকে তাদের চতুর্থ সদস্য হিসেবে বললেও পরে জানা গেছে চট্টগ্রামের মান্নানও নিউক্লিয়াসের সদস্য ছিলেন। তাছাড়া পরবর্তীতে অনেকেই নিজেকে মূল সংগঠনের সদস্য দাবি করলেও সিরাজুল আলম তাদের সহযোগীর চেয়ে বেশি কিছু বলেননি। চট্টগ্রামের মান্নান শেখ মনি ও শেখ মুজিবের অতি বিশ্বস্ত ছিলেন; বিশ্বস্ত ছিলেন কাজী আরেফ ও আবদুর রাজ্জাকও। বিশ্বস্ত ছিলেন বলেই রাজ্জাক আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
মহিউদ্দিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সিরাজুল আলম খানও বলেছেন, নিউক্লিয়াস ছিল কন্ট্যাক্ট পারসন। সঙ্গত কারণে এই নিউক্লিয়াস নামক সত্তাটি একটি ক্ষুদ্র সত্তা, যা প্রভাব বলয় বিস্তারের কাজে, দলীয় কোন্দল সৃষ্টিতে ও নেতৃত্বে অযোগ্যদের বড় বড় পদে প্রতিস্থাপনে সহায়ক ছিল। বলা হচ্ছে বিএলএফ বা তাদের ভাষায় বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স নাকি নিউক্লিয়াস থেকে জন্ম হয়েছে এবং তাকে জনপ্রিয় করার জন্য দেয়ালে দেয়ালে ১৯৬৯ সালে চিকা মারা হচ্ছিল। তাহলে সন্তানের পরিচয় প্রকাশের পূর্বে পিতার পরিচয়টি কেন তুলে ধরা হলো না? কমপক্ষে যখন বিএলএফ এ যোগদানের আহ্বান জানিয়ে চিকা মারা হচ্ছিল তখন নিউক্লিয়াস নিয়ে দু-চারটি কথাও বলা যেত কিংবা কিছু লেখাজোখা আসতে পারত। সেটা করা হলো ১৯৭২ সালের বিভক্ত ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলনে; যাকে চমক সৃষ্টির উপাদান বললে কি ভুল হবে? তখনই নিউক্লিয়াসের তিন নেতার কথা উচ্চারিত হয়েছে।
বিএলএফ প্রসঙ্গে রবের বক্তব্যও ইতিহাসভিত্তিক নয়। বিএলএফের সূচনা ঘটে ১৯৫৪ সালে এবং শেখ মুজিবের পৃষ্ঠপোষকতায় তা ঢাকার বাইরে জামালপুরে বর্ধিষ্ণু হতে থাকে। এক পর্যায়ে ইস্ট বেঙ্গল লিবারেশন ফ্রন্ট বা পার্টির কতিপয় সদস্য সরকারি দমন নিপীড়নে টিকতে না পেরে পলাতক জীবন ও নির্বাসিত জীবনযাপন করতে থাকেন। কতিপয় সদস্য শেখ মুজিবের ছত্রছায়ায় আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চাকরিতে যুক্ত হয়। এই সময় শেখ মুজিব পূর্ববঙ্গকে স্বাধীন করার জন্য একটি লিফলেট বিতরণ করেন। এই লিফলেট তিনি ইংরেজিতে প্রণয়ন ও মুদ্রণ করে শাহ মোয়াজ্জেম, শেখ ফজলুল হক মনিসহ ৫ জনের মাধ্যমে দূতাবাসগুলোতে বিতরণের ব্যবস্থা করেন। ইংরেজি প্রণীত এই প্রচারপত্রটি শেখ ফজলুল হক মনি বঙ্গানুবাদ করেন এবং লিফলেটটি বিভিন্ন ছাত্রাবাসে বিতরণের কাজে সিরাজুল আলম খানকে সংযুক্ত করেন। এ পর্যায়ে শাহ মোয়াজ্জেম এই অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক পথ থেকে সরে পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে বঙ্গবন্ধু ইবিএলএফ প্রধান হিসেবে তার ভাগ্নেকে মনোনীত করেন। তারপর থেকে শেখ ফজলুল হক মনি বিএলএফের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। তার কারাবাসের সময় সে দায়িত্ব আবদুর রাজ্জাক পালন করতেন। এক সময়ে ইবিএলএফ নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট বা বিএলএফ করা হয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার পর সিরাজুল আলম খানপন্থিরা বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স গঠন করার পদক্ষেপ নিয়ে ব্যর্থ হয়। কেননা ইতোমধ্যে শেখ মনি বিএলএফকে যুদ্ধোপযোগী করতে ফ্রন্টের স্থলে ফোর্স নামটি গ্রহণ করেন এবং ১৯৬৯ সালের শেষের দিকে এ প্রসঙ্গে দেওয়াল লিখন সম্প্রসারণ করেন। তারপর ১৫ ফেব্রুয়ারি জহুর বাহিনী ও জয় বাংলা বাহিনীর আত্মপ্রকাশ ঘটে এবং সেগুলোতে সিরাজ অনুসারীদের প্রাধান্য পরিলক্ষিত হলেও তাতে শেখ মনিপন্থিরা সম্মানজনক হারে যুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধকালে প্রথমে শেখ মনির সন্তুষ্টির জন্য সিরাজ মুজিববাদ প্রচার করেন এবং পাশাপাশি শিষ্যদের কৌশলগত অবস্থানে বসিয়ে তাদের দিয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ধোঁয়া তোলেন। কিন্তু বিসমিল্লায় গলদ ছিল, তার সঙ্গে জেনারেল উবানের সখ্য ও ভারতের মার্কিনপন্থি কমিউনিস্টদের সখ্য তার আসল চরিত্র প্রকাশ করে। কথাটা আমার নয়, আবদুর রাজ্জাকের। আবদুর রব ভালোভাবেই জানেন বিএলএফের প্রারম্ভিক নাম ছিল বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট, যুদ্ধ যখন অত্যাসন্ন হয়ে পড়ে তখন ৭১-এর ১৮ জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু সকলকে ডেকে এবং সকল সক্রিয় অন্যান্য সংগঠনকে আপাতত নিষ্ক্রীয় করে একটি অভিন্ন কমান্ডে আনার নির্দেশ দেন। তখন মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনে বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্টকে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স নামকরণটা তিনিও সানন্দে মেনে নেন।
একটি পরোক্ষ কৌশল অবলম্বন করে আমি রাজ্জাকের স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদে অন্তর্ভুক্তি ও বিএলএফে অন্তর্ভুক্তির কথা জেনে নিয়েছিলাম। সেটা ১৯৬৬ সালের ৭ জুনের ঘটনা। সেদিন পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী ৬ দফার সমর্থনে হরতাল চলছিল। আবদুর রাজ্জাক ও আমরা ক’জন পুরনো হাইকোর্ট ও কার্জন হলের মধ্যবর্তী জায়গায় পিকেটিং করছিলাম। পুলিশের একটা গাড়িকে থামাতে আমি গাছের গুঁড়ি দিয়ে গাড়ির বনেটে ক্রমাগত আঘাত করে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ পুলিশের আলম নামের এক ডিএসপি আমার মস্তিষ্ক লক্ষ করে পিস্তলের গুলি ছুড়ে বসেন। বিদ্যুৎ বেগে এসে রাজ্জাক আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে সে যাত্রায় রক্ষা করেছিলেন। সেদিনই অনুকূল পরিবেশ ব্যবহার করে রাজ্জাকের বিএলএফের সদস্যভুক্তির বিষয়টি আমি জেনে নেই।
শেখ মুজিব বিএলএফকে একটি সশস্ত্র ফোর্সে রূপান্তরের আগে রাজ্জাককে দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়েছিলেন। স্বাধীনতাযুদ্ধ অত্যাসন্ন হয়ে পড়ায় অস্ত্র ও ট্রেনিংয়ের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূর্ণ যোগাযোগ স্থাপিত হলো। চিত্তসূতার ও ডা. আবু হেনাকে কাজে লাগাতে হলো আর স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীসহ সব সহযোগী ও অনুগত বাহিনী মিলিয়ে এবারে ফ্রন্টের বদলে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স গঠন করলেন। সংক্ষেপে কিন্তু তা বিএলএফই রয়ে গেল। ১৯৭১ সালে ভারতের বুকে তার নামকরণ হলো মুজিব বাহিনী। এই বাহিনী গঠন, কার্যক্রম, সফলতা বা বিফলতা নিয়ে সিরাজ তেমন কিছু লিখেননি, কিন্তু ইতিহাস তো থেমে থাকে না।

অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী : বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা;
উপাচার্য, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়