দৈনিক ওঠানামার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

আগের সংবাদ

জনগণের সাহসেই পদ্মা সেতু : বন্যার দুর্ভোগ ও ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার > বিএনপির নেতা কে? সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

‘স্বপ্নরাজ’ নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন বাবু

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বকুল রহমান, চাটমোহর (পাবনা) থেকে : আসন্ন কুরবানির ঈদে পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘইল মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত শহীদ আলী ফকিরের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক বাবু ‘স্বপ্নরাজ’ নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। ৩৬ মণ ওজনের এই গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। ছয় দাঁতওয়ালা গরুটি ৪ বছর ধরে লালন-পালন করছেন বাবু। আদর করে নাম রেখেছেন ‘স্বপ্নরাজ’।
কৃষক মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, পৈতৃক সূত্রে তারা গরুর খামারি। ছোটবেলা থেকেই গরু লালন-পালন করেন। চার বছর আগে তার নিজের খামারে গাভী থেকে একটি বাছুর হয়। সেটিকে তিনি খুব যতœ করে লালন-পালন করছি। তার সঙ্গে স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুনও বেশ পরিশ্রম করেন। বিশাল দেহের অধিকারী সাদা-কালো ডোরাকাটা ফিজিয়ান জাতের ষাঁড় গরুটি হাঁটে হেলেদুলে। তবে বেশ শান্তশিষ্ট। কাউকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে না। তিন বেলা ১৭ থেকে ১৮ কেজি স্বাভাবিক সুষম খাবারের পাশাপাশি তিন বেলা নাস্তা হিসেবে আপেল, কলা, আঙুরসহ নানা ফলমুল তার খুব পছন্দ। স্বপ্নরাজকে লালন-পালনে মোটাতাজা করতে তিনি কোনো মেডিসিন বা ইনজেকশন ব্যবহার করেননি। গত বছর কুরবানির আগে স্বপ্নরাজের ওজন ছিল ২২-২৩ মণ। তখন দাম উঠেছিল ৬ লাখ টাকা। কিন্তু ওই দামে বিক্রি করেননি তিনি। মোজাম্মেল হক বাবুর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, চার বছর ধরে স্বপ্নরাজকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। মানুষ সন্তানকে যেমন আগলে রাখে, আমিও তেমনভাবে আগলে রেখেছি। নিজের হাতে খাইয়েছি, যতœ করেছি। এখন বিক্রি করে দিতে হবে শুনে সন্তান হারানোর মতো কষ্ট পাচ্ছি। এদিকে এত বড় ষাঁড় গরু দেখতে খামারি মোজাম্মেল হক বাবুর বাড়িতে ভিড় করছেন অনেকেই। গরু দেখতে আসা মনিরুল ও শামীম বলেন, এখানে বিশাল গরু আছে শুনে দেখতে আসছি। এত বড় গরু এর আগে দেখিনি। আমাদের মতো অনেকেই গরু দেখতে ও দাম শুনতে আসছে।
চাটমোহর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বড় গরুর চাহিদা আর আগের মতো নেই। আমরা কৃষককে এত বড় করতে উৎসাহিত করি না। মোজাম্মেল হক বাবুর বড় ষাঁড় গরুর সব বিষয়ে আমরা পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করি তিনি বিক্রি করে লাভের মুখ দেখবেন।
কুরবানিকে সামনে রেখে আমরা উপজেলার সব খামারিকে সব সময় পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকি। আমাদের সরকারিভাবে অনলাইনে গরুর বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। ঈদে বিক্রির জন্য সেখানে উপজেলার সব খামারির গরুর ছবি ও তথ্য আপলোড করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়