দৈনিক ওঠানামার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

আগের সংবাদ

জনগণের সাহসেই পদ্মা সেতু : বন্যার দুর্ভোগ ও ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার > বিএনপির নেতা কে? সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

শ্রীলঙ্কা : গোটাবায়ার ক্ষমতা খর্ব মন্ত্রিসভায় বিল পাস

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের সাংবিধানিক ক্ষমতা হ্রাসে একমত হয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা। সংবাদে প্রকাশ, মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এ বিষয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে এ খবর জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের গণমাধ্যম উপদেষ্টা দিনুক কলম্বেজ।
পরে শ্রীলঙ্কার পর্যটনমন্ত্রী হারিন ফেরনান্দো জানান, গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংবিধানের ২০ নম্বর অধ্যাদেশ সংশোধন করে নতুন ২১ নম্বর অধ্যাদেশের খসড়া পাস হয়েছে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ফেরনান্দো বলেন, সংবিধানের ২০ নম্বর অধ্যাদেশ অনুযায়ী এতদিন মন্ত্রিসভার সদস্যদের থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন, সরকারি প্রশাসন ও পরিষেবা, পুলিশ, সরকারি মানবাধিকার সংস্থা, দুর্নীতি তদন্ত কমিশনসহ যাবতীয় সরকারি কার্যালয়ের শীর্ষপদে নিয়োগ ও বরখাস্তের একক ক্ষমতা ছিল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের। এক্ষেত্রে পার্লামেন্টের পরামর্শ-সুপারিশ নেয়ার বিষয়ে তার কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না এবং এ বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে কারো কাছে জবাবদিহিতার প্রয়োজনও পড়তো না। কিন্তু নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এখন থেকে মন্ত্রিসভাসহ সরকারি প্রশাসনে নিয়োগ ও বরখাস্তের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টকে মন্ত্রিসভার পরামর্শ ও সুপারিশকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় ১৯৭৮ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।
পরে ২০১৫ সালে দেশটির সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমিয়ে পার্লামেন্টের ক্ষমতা বড়ানো হয়। কিন্তু ২০২০ সালে রাজাপাকসে পরিবার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন প্রধামন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা ২০ নম্বর অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে। সোমবার মূলত সেটিরই সংস্কার করা হয়। গুরুতর অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও করোনা মহামারির জেরে ১৯৪৮ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ইতিহাসের সব থেকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট পার করছে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত দেশ শ্রীলঙ্কা।
বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ না থাকায় জ্বালানি, খাবার এবং ওষুধের মতো অতি-জরুরি পণ্যও আমদানি করতে পারছে না ভারত মহাসাগরের ছোট এই দ্বীপরাষ্ট্র। এর মধ্যে জ্বালানি সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কায়। ডিজেলের সরবরাহ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো। ফলে গত কয়েক মাস ধরে সেখানে দিনের বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে না। এছাড়া পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস কিনতে লোকজনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এদিকে, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানির সংকটে অতিষ্ঠ শ্রীলঙ্কার সাধারণ জনগণ গত এপ্রিল থেকে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। এখনো রাজধানীসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে চলছে সেই বিক্ষোভ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়