কাগজ প্রতিবেদক : দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটি স্বপ্নের মতো কেটেছিল তাসকিন আহমেদের। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো হয়েছিলেন সিরিজ সেরা। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই কাঁধের চোটে পড়েন। ফিরতে হয় দেশে। তার অনুপস্থিতি বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছিল। মাঝে চিকিৎসার জন্য যান লন্ডনে।
পুনর্বাসনের জন্য খেলা হয়নি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। রাখা হয়নি ক্যারিবীয় সফরের টেস্ট দলেও। তবে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে থাকায় দেশেই অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন এই পেসার। কাঁধের চোটের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আবার হঠাৎ করে কোমরে ব্যথা অনুভব করেছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। মূলত বোলিংয়ের সময় ব্যথা বেশি বোধ করতেন। প্রায় সুস্থ হয়েই উঠেছিলেন তিনি। এ অবস্থায় আবারো তিন দিনের বিশ্রামে যান। অবশেষে মিলল স্বস্তির খবর। গতকাল মিরপুরে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ২৭ বছর বয়সি এই ডানহাতি পেসার। মাঠে এসেই অনুশীলনে নেমে পড়েন তিনি। এরপর চলে তার বোলিং সেশন। বোলিংয়ের সময় তার কোমরে কোনো ব্যথা ছিল না বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন,’তাসকিন কাঁধের চোটের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন। হঠাৎ করে বোলিংয়ের সময় কোমর ব্যথা অনুভব করেন। তাই পূর্বসতর্কতা হিসেবে তৎক্ষণাৎ তাকে তিন দিন বিশ্রাম নিতে বলি। বিশ্রামের পর আজ (গতকাল) আবারো বোলিং করেছেন তিনি। কিন্তু কোনো ব্যথা অনুভব করেননি। কাল (আজ) আবারো বোলিং করবেন, আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। তার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে আপাতত কোনো শঙ্কা নেই।’
অনুশীলন শেষে তাসকিন আহমেদ নিজেও জানিয়েছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, অস্বস্তি নেই। আজকে (গতকাল) ব্যথা ছাড়াই বোলিং করেছি। কালও (আজ) করব। ইনশা আল্লাহ সব ঠিক থাকবে আশা করি।’ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান সিরিজে খেলতে পারছেন না তাসকিন। তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে আছেন। শারীরিক অবস্থা ঠিকঠাক থাকলে ২৩ জুন উইন্ডিজের বিমানে উঠবেন তিনি। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্ব টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক ঘটে তাসকিনের। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে তার ওয়ানডে অভিষেক হয়। খেলায় একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেন তিনি। তাসকিন আহমেদ ৪৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ২০৫০ রান খরচ করে ৬৭টি উইকেট পেয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২০১৪ সালেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবং টেস্ট ফরম্যাটে ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের এই পেসারের অভিষেক হয়েছে। টেস্ট ফরম্যাটে তাসকিন আহমেদ এখনো পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ১৮ ইনিংস বল করে পেয়েছেন ২৩ উইকেট। ৮২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তার চলমান টেস্ট ক্যারিয়ারের বেস্ট বোলিং ফিগার। এছাড়া ৪টি করে উইকেট পেয়েছেন দুই ইনিংসে। টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটের মতো টি-টোয়েন্টিতেও তাসকিন বেশ ভালো অবস্থানে আছে। ৩১ ইনিংস খেলে পেয়েছেন ২৩ উইকেট।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।