দৈনিক ওঠানামার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

আগের সংবাদ

জনগণের সাহসেই পদ্মা সেতু : বন্যার দুর্ভোগ ও ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার > বিএনপির নেতা কে? সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

বাউফলের কালাইয়া হাট : দেশি গরু-মহিষ কিনতে ক্রেতাদের ভিড়

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম বাণিজ্যিক বন্দর বাউফলের কালাইয়া হাটে বিক্রির জন্য হাজার হাজার গরু-মহিষ উঠতে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শত শত গরু-মহিষের বেপারি এবং স্থানীয় গৃহস্থদের আমদানি করা গরু-মহিষে হাট এখন লোকে লোকারণ্য। উন্মুক্ত চরাঞ্চলে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করে কালাইয়া হাটে বিক্রি করতে আনা দেশি গরু-মহিষের চাহিদা রয়েছে দেশব্যাপী। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এই হাটে কয়েক কোটি টাকার গরু-মহিষ কেনাবেচা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সোমবার সরজমিন দেখা গেছে, হাজার হাজার গরু-মহিষ নিয়ে গৃহস্থরা হাজির হয়েছেন। অর্ধ শতাধিক ট্রাক এবং অন্যান্য যানবাহন নিয়ে খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশি প্রজাতির গরু-মহিষ ক্রয় করতে বেপারিরা কালাইয়া হাটে অবস্থান করছেন। এ হাটে বাউফল ছাড়াও দশমিনা, রাঙ্গাবালী, গলাচিপা, দুমকি, লালমোহন, চরফ্যাশনসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল থেকে গৃহস্থরা গরু-মহিষ বিক্রি করতে আসেন। এ অঞ্চলের গৃহস্থরা গরুর বাছুর কিনে সারা বছর উন্মূক্ত চরাঞ্চলে লালন-পালন করেন। কালাইয়া হাটে ৪০ হাজার থেকে দেড়-দুই লাখ টাকার গরু বিক্রির জন্য আনা হয়। তবে সাধারণত ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে বেশিসংখ্যক গরু বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মহিষের বেপারি ছিদ্দিক, জসিম উদ্দিন, খোকন প্যাদা এবং বাবুল বেপারিসহ অনেকে জানান, কালাইয়া হাটের গরু-মহিষ দেশের সর্বত্র যায়। কেবল ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করেই এই হাটে গরু-মহিষ ওঠে তেমনটা নয়। সারা বছরই গরু-মহিষ ক্রয় করতে বেপারিরা কালাইয়া হাটে আসেন। কারণ, এখানকার গরু-মহিষ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রথায় লালন-পালন করা হয়। কোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য খাওয়ানো হয় না।
হাটের ইজারাদার কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা জানান, কালাইয়া হাটে গরু-মহিষ কেনাবেচায় বেপারিদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়। একইভাবে বেপারিদের নিরাপত্তা এবং গরু-মহিষ পরিবহনে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়। গৃহস্থরা চরাঞ্চলে উন্মুক্তভাবে গরু-মহিষ লালন-পালন করে কালাইয়া হাটে বিক্রি করতে আনেন। মাংসের জন্য এখানকার গরু-মহিষের কদর অনেক বেশি। এ কারণেই কালাইয়া হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেপারিরা আসেন। তবে ঈদুল আজহায় গরুর চাহিদা বেশি থাকে। ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে গরু-মহিষের হাটকে আধুনিকায়ন করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গরুর হাটের বেশ কিছু উন্নয়ন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়