দৈনিক ওঠানামার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

আগের সংবাদ

জনগণের সাহসেই পদ্মা সেতু : বন্যার দুর্ভোগ ও ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার > বিএনপির নেতা কে? সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

পদ্মার দুই পাড়ে থানা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিপদে পড়া মানুষের ভরসাস্থল হয়ে ওঠার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দুনিয়ার অনেক জায়গায় গিয়েছি। গ্রেট ব্রিটেনে দেখেছি একজন সিপাহীকেও জনসাধারণ শ্রদ্ধা করে। কোনো পুলিশ কর্মচারীকে দেখলে তারা আশ্রয় নেয়ার জন্য তার কাছে দৌড়ে যায়। তারা মনে করে, পুলিশ তাদের সহায়। আমাদের দেশেও পুলিশ বাহিনী সেভাবেই জনগণের আস্থা অর্জন করবে, যেন জনগণ মনে করে যে তার জীবন ও মান রক্ষায় পুলিশই শেষ ভরসা। কাজেই সেই ভরসার স্থান হিসেবে পুলিশকে জনগণের সামনে নিজেকে তুলে ধরতে হবে।
পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে দুটি থানাসহ পুলিশের পাঁচটি উন্নয়ন ও বিশেষ কাজ উদ্বোধনের সময় গতকাল মঙ্গলবার এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই কার্যক্রমগুলো উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে ‘পদ্মা সেতু (উত্তর) থানা’ ও ‘পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) থানা’ উদ্বোধনের পাশাপাশি গৃহহীন, ভূমিহীন অসহায় মানুষের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক নির্মিত ১২০টি গৃহ হস্তান্তর, নবনির্মিত ১২টি পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ছয়টি নারী ব্যারাক এবং অনলাইন জিডি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় পুলিশের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকবে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান সফল হয়েছে। সেই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো ঘটনা যেন আর না ঘটে।
তিনি বলেন, মাদক অর্থাৎ ড্রাগ সমাজের একটা ব্যাধি। এই মাদক নির্মূল করা, সাইবার ক্রাইম, মানিলন্ডারিং, গুজব ছড়ানো, মানবপাচার রোধসহ বিভিন্ন কাজ যা কোনো মানুষের জীবনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দেশের জন্যও অকল্যাণকর। পুলিশ এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। আমি মনে করি, এই ব্যাপারে সব সময় সজাগ থাকতে হবে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলা মোকাবিলা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারানো দুজন পুলিশ সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সেটা যৌথভাবে অর্থাৎ আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি সবাই মিলে সেটা মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মোকাবিলা করি। অনেককে জীবিত উদ্ধার করি। সন্ত্রাস দমনে একটা অনন্য ভূমিকা রাখা হয়েছে। সেখানে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল আমাদের পুলিশ বাহিনী। এরপর থেকে আর বড় ধরনের কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি। যখন যেখানে ঘটতে গেছে পুলিশ জীবন দিয়ে হলেও এই সন্ত্রাস দমন করেছে। যেমন সিলেটের ঘটনা বা শোলাকিয়া ময়দানের ঘটনা। পুলিশ নিজেদের জীবন দিয়ে জঙ্গিবাদকে মোকাবিলা করেছে এবং দমন করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির নামে চালানো ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ ও তাদের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের কারণে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যকে গাইবান্ধা, রাজশাহীসহ অনেক এলাকায় হত্যার শিকার হতে হয়েছে। তারপরও পুলিশ এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষায় পুলিশের দক্ষতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যারা এ ধরনের ক্রাইম করেছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে ধরা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সব জায়গার হয়তো ভিডিও ছিল না, অন্য জায়গার বা তার আশপাশের ভিডিও থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেই ক্রিমিনালগুলোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে জাতির পিতা ও আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ মে সারদা পুলিশ একাডেমিতে ভাষণে বলেছিলেন, ‘আপনারা জনগণের সাহায্য-সহযোগিতায় এ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবেন’। জাতির পিতার এই নির্দেশ আপনারা মেনে চলবেন, সেটাই আমি চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়