দৈনিক ওঠানামার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

আগের সংবাদ

জনগণের সাহসেই পদ্মা সেতু : বন্যার দুর্ভোগ ও ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার > বিএনপির নেতা কে? সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

গিনেস বুকে নাম ওঠানোর দাবি : বরিশালে সবচেয়ে ছোট মসজিদের সন্ধান

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম কে রানা, বরিশাল থেকে : জেলায় এবার প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো একটি ছোট মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের চরহোগলা গ্রামের এ মসজিদটির উচ্চতা মাত্র সাড়ে তিন ফুট। এর ভেতরে মাত্র ৩ জন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের ভেতরে কোনো মিম্বর না থাকলেও দেয়াল কেটে মিম্বরের আকৃতি দেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট প্রাচীন মসজিদ এটি। আর এ মসজিদের নাম গিনেস বুকে ওঠানোর দাবি জানান। যদিও জনশ্রæতি আছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মসজিদ বগুড়ার সান্তাহার উপজেলার তারাপুর গ্রামে। এক গম্বুজবিশিষ্ট সেই মসজিদটির উচ্চতা ১৫ ফুট, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৮ ফুট। এর দরজা ৪ ফুট উঁচু আর দেড় ফুট চওড়া। সেই মসজিদেও মাত্র তিনজন নামাজ পড়তে পারেন। স্থানীয়রা জানান, সবচেয়ে ছোট এই প্রাচীন মসজিদটির নাম গাজী কালু দরগাবাড়ির পাঞ্জেগানা মসজিদ। আকার বা ইতিহাসগত দিকের পাশাপাশি মসজিদটি নিয়ে অলৌকিক কিংবদন্তিও প্রচলিত আছে পুরো এলাকায়। গাজী কালু দরগাবাড়ির পাঞ্জেগানা মসজিদ, গায়েবি মসজিদ ও কানা মসজিদ এ তিনটি নামে এলাকাবাসীর কাছে সমধিক পরিচিত মসজিদটি একটি বৃহদাকার বটগাছের শিকর-বাকড়ে আবৃত। এর ভেতরে দেখা যায় এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির উত্তর-দক্ষিণে পৃথক দুটি জানালা। মসজিদটি সম্পূর্ণ পোড়ামাটি আর চুন-সুড়কি দিয়ে নির্মাণ করা। প্রাচীন এ ক্ষুদ্র মসজিদ পরিচালনায় রয়েছে কমিটিও। পরিচালনা কমিটি বলছে, পুরনো দলিল-দস্তাবেজ অনুসারে পর্তুগিজ আমল থেকেই ওখানে মসজিদ বাড়ি নামে রেকর্ড রয়েছে। তবে ঠিক কত খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল, তার সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায়নি। পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন চৌধুরী বলেন, পুরনো দলিলের রেকর্ডপত্রে আব্দুল মজিদ সিকদার ও বন্দে আলী সিকদারের খতিয়ানে ২১ শতাংশ জমি মসজিদের নামে জনসাধারণের ব্যবহার্য উল্লেখ করা রয়েছে। এছাড়া স্থানটিকে মসজিদ বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, পর্তুগিজ আমলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।
মসজিদ বাড়ির বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম সেলিম বলেন, অনেক লোক আসেন এখানে মনের আসা পূরণে মানত করে। মূলত তাদের টাকায় মসজিদটির উন্নয়ন করা হয়। তিনি দাবি করে বলেন, আমার মনে হয় বিশ্বের ছোট মসজিদ এটি। গিনেস বুকে এ মসজিদের নাম ওঠানোর দাবি জানাচ্ছি। তবে স্থানীয়দের দাবি, প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে এ মসজিদকে সংরক্ষণের জন্য প্রশাসন এগিয়ে আসবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়