দৈনিক ওঠানামার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

আগের সংবাদ

জনগণের সাহসেই পদ্মা সেতু : বন্যার দুর্ভোগ ও ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার > বিএনপির নেতা কে? সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

আশাশুনিতে খাদ্য সহায়তা পাননি জেলেরা

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : আশাশুনির আনুলিয়ায় সমুদ্রগামী প্রকৃত মৎস্যজীবীদের খাদ্য সহায়তা না দিয়ে সাগরে যায় না, তালিকাভুক্ত নয় এমন দোকানদার, বালু ব্যবসায়ীকে ভিজিএফের চাল দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে তদন্তপূর্বক প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন আনুলিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ভোলানাথপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ মোল্যাসহ ৫ মৎস্যজীবী।
নূর মোহাম্মদসহ বঞ্চিত জেলেরা বলেন, আমরা গরিব ও অসহায় মৎস্যজীবী। বছরের ৬/৭ মাস সাগরের দুবলার চরে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করি। ২০২০ সালে এই ইউনিয়নে ২৩০ জন কার্ডধারী মৎস্যজীবীর তালিকা ছিল। গত বছর ১৩ জুন তালিকা সঙ্কুচিত করে তৎকালীন চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহজাহান আলী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেব প্রসাদ দাশ ও মৎস্যজীবী প্রতিনিধি সুভাষ স্বাক্ষরিত আনুলিয়া ইউনিয়নের ১২৪ জন সমুদ্রগামী নতুন মৎস্যজীবীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে মনিপুর গ্রামে ৩০ জন, ভোলানাথপুরে ৫২ জন, বিছটে ২৬, মধ্যম একসরায় ১২ এবং বাগালি, জেলেখালি, বাসুদেবপুর ও দক্ষিণ একসরা গ্রামে ১ জন করে মোট ১২৪ মৎস্যজীবী রয়েছেন।
সঙ্কুচিত তালিকায় প্রকৃত সমুদ্রগামীরা বাদ পড়েছেন আর যারা অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন তালিকা অনুযায়ী চলতি বছর মাথা পিছু ৫৬ কেজি হারে আনুলিয়া ইউনিয়নে ৬ হাজার ৯৪৪ কেজি চাল উত্তোলন করা হয়েছে।
কিন্তু ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম মনিপুর ও ভোলানাথপুর গ্রামের সমুদ্রগামী প্রকৃত মৎসজীবীদের বাদ দিয়ে নিজস্ব লোকজনদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। তার ওয়ার্ডের মনিপুর লঞ্চঘাটের মুদি ব্যবসায়ী মুজিবর রহমান ও তার ছেলে মিজানুর রহমান, ভোলানাথপুর গ্রামের গফুর সানার ছেলে বালু ব্যবসায়ী মনি সানা, রবিউল মোল্যা, মনিপুরের আব্দুল হান্নান গাজী তালিকাভুক্ত না হয়েও চাল পেয়েছেন।
আবার তালিকায় আছেন কিন্তু সমুদ্রে মাছ ধরতে যান না এ রকম ১৮ জনকে চাল দেয়া হয়েছে। তারা হলেন মনিপুর গ্রামের নাজিম উদ্দীন, আব্দুল মজিদ, বাবুর আলী, এলেম সরদার, মমিনুর সানা, মফিজুল সানা, মনিরুল সানা, বাগদা চিংড়ি ব্যবসায়ী ইমদাদুল গাজী, হাফিজুল সানা, বুলবুল আহম্মেদ সানা, আবুল কাসেম সানা, আসাদুল গাজী, ভোলানাথপুর গ্রামের রুহুল আমিন, মনোহর সানা, নজরুল মোল্যা, ঈমান সানা, শরিফুল সানা, শফিকুল মোল্যা।
এ ব্যাপারে আমিরুল ইসলাম বলেন, তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয় এমন কাউকে চাল দেয়া হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়