দৈনিক ওঠানামার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

আগের সংবাদ

জনগণের সাহসেই পদ্মা সেতু : বন্যার দুর্ভোগ ও ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার > বিএনপির নেতা কে? সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

আলোচনা সভায় বক্তারা : প্রস্তাবিত বাজেটে নারী ও পিছিয়ে পড়াদের জন্য উদ্যোগ নেই

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নারী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেই। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ কমেছে এবং নারীবান্ধব আইনের প্রকৃত বাস্তবায়নের জন্য যে সম্পদ বরাদ্দ দরকার, সেটিও বাজেটে নেই। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে জেন্ডার গ্যাপ সূচক অনুসারে বাংলাদেশ একটি ভালো অবস্থানে আছে। এটি কত দিন থাকবে তা শঙ্কার বিষয়।
‘বাজেট ২০২২-২৩ : জেন্ডার সংবেদনশীলতা পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এম এম আকাশ। কেয়ার বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (উইমেন এন্ড গার্লস এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম) রওনক জাহান ও পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী।
ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, স্থানীয় সরকার পর্যায়ে নারীর কাজের ক্ষেত্রে বাধা আছে। জেন্ডার বাজেটে নারীকে মূলধারায় এগিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগ বাজেটে নেই। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্তিমিত হলেও এর অভিঘাত নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ সব ক্ষেত্রের অর্জনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দের দাবি জানান।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, নারীর অধিকার অর্জনে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। বাজেট বাস্তবায়নে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
ড. এম এম আকাশ বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প আছে। নারীদের জন্য বরাদ্দ কতটা তা বের করার কিছু উপায় আছে। উদাহরণস্বরূপ নারীর জন্য তৈরি করা অবকাঠামো যেমন- হাসপাতাল ও স্কুল থেকে তারা কতটা সার্ভিস পাচ্ছে তা মনিটরিং করা এবং তার জন্য বরাদ্দ কত, তা দেখা যেতে পারে।
রওনক জাহান বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ কমেছে এবং নারীবান্ধব আইনের প্রকৃত বাস্তবায়নের জন্য যে সম্পদ বরাদ্দ দরকার, তা বাজেটে নেই। নারী ও কন্যা শিশুর অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিতে হবে। আইনের প্রভিশন ও বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়