বন্যায় উদ্ধার ও ত্রাণ : সরকারের উদাসীনতার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ বাম জোটের

আগের সংবাদ

ত্রাণ পৌঁছেনি প্রত্যন্ত জনপদে : এখনো পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ, সিলেট বিভাগে বন্যায় ২২ জনের মৃত্যু

পরের সংবাদ

সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ৩২ কোটি টাকা আত্মসাৎ : গিয়াস আল মামুনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা অনুমোদন

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এলসির বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ৩২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি তাহমিলুর রহমানসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মামলাটি অনুমোদন দেয়া হয়। দুদক উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে যে কোনো সময় মামলাটি দায়ের করবেন বলে জানা গেছে। মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের কোম্পানি ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ৬ জন ও সোনালী ব্যাংকের ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
অনুমোদিত মামলায় মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের আসামিরা হলেন- চেয়ারম্যান মো. হারুণ অর রশীদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, পরিচালক জি আর চৌধুরী ওরফে গোলাম রব্বানী চৌধুরী, নাসির উদ্দিন মিয়া, এ এইচ এম জাহাঙ্গীর ওরফে আবু হাসান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও রাজিব সিরাজ। অন্যদিকে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের আসামিরা হলেন- সাবেক এমডি মুহাম্মদ তাহমিলুর রহমান, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমানুল্লাহ, অবসরপ্রাপ্ত সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান ও শফিকুর রহমান, উপ-সহব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক খন্দকার মোশারফ আলী, মো. কামরুল ইসলাম ও আবু জাফর মো. সালেহ, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আলী আরশাদ, মো. আবু মুসা ও আব্দুল গফুর ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আতিকুর রহমান, ওয়াহিদ উদ্দিন আহম্মদ ও এস এম এম আওলাদ হোসেন এবং সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের নামে ২০০৪ সালে এলসির বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখা থেকে ঋণ নেয়া হয়েছিল। দুদকের অনুসন্ধানে ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ পাওয়া যায়নি। ঋণ হিসেবে ৩২ কোটি ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা আত্মসাতের জন্য দায়ী সোনালী

ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকজন বর্তমানে অবসরে রয়েছেন। অনেক আসামি আবার বিদেশে পলাতক রয়েছেন। তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াস উদ্দিন আল মামুন জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে এক মামলায় আদালতের রায়ে সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছে মামুনের। ওই মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে জজ আদালত খালাস দিলেও আপিলের রায়ে হাইকোর্ট তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দেন। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরো অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে মামুনের বিরুদ্ধে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়