বন্যায় উদ্ধার ও ত্রাণ : সরকারের উদাসীনতার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ বাম জোটের

আগের সংবাদ

ত্রাণ পৌঁছেনি প্রত্যন্ত জনপদে : এখনো পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ, সিলেট বিভাগে বন্যায় ২২ জনের মৃত্যু

পরের সংবাদ

চ্যানেলে তীব্র স্রোত : দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ছয় রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নন্দন দেবনাথ, রাঙ্গামাটি থেকে : ভারি বর্ষণ ও সীমান্তের ওপারের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুবলং চ্যানেলে পানির তীব্র স্রোতের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় গতকাল সোমবার সকাল থেকে রাঙ্গামাটির অন্তত ছয়টি নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার রাঙ্গামাটি জোন কর্তৃপক্ষ।
গত রবিবার রাতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার রাঙ্গামাটি জোন চেয়ারম্যান মো. মঈনুদ্দীন সেলিম এবং যাত্রীবাহী লঞ্চের মালিক গিয়াস উদ্দিন আদর। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে মঙ্গলবার এ পথে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কথা রয়েছে। পরিস্থিতি সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তারা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার রাঙ্গামাটি জোন চেয়ারম্যান মো. মঈনুদ্দীন সেলিম জানান, রাঙ্গামাটিতে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে সুবলং চ্যানেলে তীব্র স্রোতে স্বাভাবিক লঞ্চ চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। তাই ভারি বর্ষণ ও স্রোতের কারণে সোমবার থেকে রাঙ্গামাটির সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রচণ্ড স্রোতের কারণে লঞ্চ দুর্ঘটনার সম্ভাবনার ঝুঁকি থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার স্রোতের পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে রাঙ্গামাটিতে সীমান্ত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ৪ দিন পর বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে এলেও পাহাড়ি ঢল নেমে আসছে। উপজেলাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রিতদের শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় প্রাথমিকভাবে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে ২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে রাঙ্গামাটি শহরের ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১ হাজারের বেশি মানুষ সরিয়ে আনা হয়েছে। প্রবল বর্ষণে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন অংশে পাহাড়ধস ও রাস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক স্বাভাবিক রাখতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়