চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে তিন দিনের ব্যবধানে ফের পাহাড়ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নগরীর ষোলশহরে গ্রিনভ্যালি আবাসিক এলাকায় গতকাল সোমবার ভোরে পাহাড়ধসে মারা গেছে মোহাম্মদ আবু রায়হান নামে ১২ বছর বয়সি এক শিশু। রায়হান স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে স্থানীয় ভাসমান চা দোকানি দীন মোহাম্মদের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায়। এর আগে গত শুক্রবার রাতে আকবার শাহ থানাধীন দুটি পৃথক পাহাড়ধসে চারজনের মৃত্যু হয়। পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, গ্রিনভ্যালি আবাসিক মসজিদের পেছনে পাহাড়ের পাদদেশে দীন মোহাম্মদের একটি ভাসমান চা দোকান আছে। রায়হান পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার

দোকানে সময় দিত এবং বাবার সঙ্গে দোকানে কাজ করত। রাতে তার বাবা দোকান থেকে চলে যাওয়ার সময় ছেলেকে বাসায় চলে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু রায়হান বাসায় না গিয়ে দোকানেই ঘুমিয়ে পড়ে। বৃষ্টির মধ্যে রাতের কোনো একসময় পাহাড়ধসে পড়ে দোকানের উপর। ঘুমন্ত অবস্থায় মাটির নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারায় রায়হান। ভোরে দীন মোহাম্মদ দোকান খুলতে গিয়ে এ ঘটনা দেখেন। স্থানীয়রা মিলে মাটি সরিয়ে রায়হানের মরদেহ উদ্ধার করেন। পাহাড়ধসের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই রায়হানের মরদেহ নিয়ে তার স্বজনরা গ্রামের বাড়ি লাকসামে চলে যান।
এর আগে টানা বৃষ্টির মধ্যে শুক্রবার রাতে নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায় দুটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত ও দুজন আহত হন। নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনির এক নম্বর ঝিল বরিশালঘোনা এলাকায় পাহাড়ধসে মারা যান শাহীনূর আক্তার (২৬) ও তার বোন মাইনুর আক্তার (২৪)। আহত হন তাদের বাবা-মা ফজল হক (৭০) ও মোশারা বেগম (৬৫)। নগরীর ফয়’স লেকসংলগ্ন সি ওয়ার্ল্ডের পাশে বিজয়নগর এলাকায় আরেকটি পাহাড়ধসের ঘটনায় লিটন (২৩) ও ইমন (১৪) নামে দুজন মারা যান।