বন্যায় উদ্ধার ও ত্রাণ : সরকারের উদাসীনতার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ বাম জোটের

আগের সংবাদ

ত্রাণ পৌঁছেনি প্রত্যন্ত জনপদে : এখনো পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ, সিলেট বিভাগে বন্যায় ২২ জনের মৃত্যু

পরের সংবাদ

গজারিয়ায় মেঘনার ভাঙনে দিশাহারা তীরবর্তী মানুষ

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) থেকে : মেঘনা নদীর ভাঙাগড়ার খেলায় দিশাহারা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের ভর কালীপুরা গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। ভাঙনের কবলে পড়ে গৃহহীন ও ভূমিহীন হয়ে অনেকেই ছেড়েছেন নিজের জন্মস্থান। পাড়ের মাটি ভাঙছে তো ভাঙছেই। প্রতি বছর এমন ভাঙন দেখা দিলেও তা রোধে নেয়া হচ্ছে না কোনো স্থায়ী সমাধান।
মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা কালীপুরা গ্রামে গত কয়েকদিন ধরেই দুর্দশার এই চিত্র দেখা যাচ্ছে। টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মেঘনা নদীতে ক্রমেই বাড়ছে পানি। এতে করে ভাঙন বেড়েই চলেছে মেঘনার তীরবর্তী এলাকা কালীপুরা গ্রাম। গত কয়েকদিনে দুটি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
কালীপুরা গ্রামের বয়োবৃদ্ধ সরাফত আলী প্রধান জানান, নদীতে পানি বাড়ায় স্রোতে বসতভিটা ধসে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। ১০ বছর ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। বসতভিটার সামনে নদীর দিকে ৪০ শতক জমি ছিল। ভাঙতে ভাঙতে এখন শুধু বাড়ির ঘরটিই অবশিষ্ট রয়েছে। মেঘনার ভাঙনে আজ ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে তিনি। আরেক বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম বলেন, ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে এখন শুধু বাড়িটিই অবশিষ্ট রয়েছে। গেল কয়েকদিনের নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানির স্রোত পূর্বদিকে হওয়ায় নদীর পাড়ে ধস শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন ও ধস ঠেকাতে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলার জোর দাবি জানাই।
নেছার উদ্দিন জানান, হঠাৎ করে আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে অন্য এলকায় চলে গেছে। এভাবে একের পর বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যদি এটি রোধ না করা হয় তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা কী করে বাঁচব।
ইমামপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য ও কালীপুরা গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, নদীভাঙনের কবলে এলাকার ৫০ থেকে ৬০টি পরিবারের বসতভিটা হুমকির মুখে রয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ থেকে ১২টি পরিবার ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যপারে ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুজ্জামান খান জিতু জানান, নদীভাঙন রোধে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উপজেলার নদীভাঙন বিভিন্ন এলাকা গতকাল পরিদর্শন করে গেছেন। স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধে আশা করি শিগগিরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়