কাগজ প্রতিবেদক : মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারী নেতৃত্ব সৃষ্টি করা অত্যন্ত কঠিন। পরিবার থেকেই নারীর নেতৃত্ব তৈরি ও নারীর ক্ষমতায়ন করতে হবে। কারণ পরিবারই প্রথম প্রতিষ্ঠান- যা তাদের কন্যা ও বোনদের মাঝে নেতৃত্ব সৃষ্টি ও ক্ষমতায়ন করতে পারে। নারী নেতৃত্ব সৃষ্টিতে সামাজিক বাধা ও সচেতনতার অভাব বড় বাধা। তবে বিশ্বে যেসব দেশে নারী সরকারপ্রধান আছে, সেখানে নারীর ক্ষমতায়ন দ্রুত হচ্ছে।
গতকাল সোমবার রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় কমনওয়েলথ উইমেন্স ফোরামের প্রথম দিনে ‘উইমেন ইন লিডারশিপ : বিয়ন্ড নাম্বারস’ সেশনে আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এসব কথা বলেন। কিগালিতে অনুষ্ঠিত দুদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রুয়ান্ডার ফার্স্ট লেডি জেনেট কাগামে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি।
প্রথম দিনে ‘উইমেন ইন লিডারশিপ : বিয়ন্ড নাম্বারস’ সেশনে যুক্তরাজ্যের চেরি ব্লেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেরি ব্লেয়ার, দক্ষিণ আফ্রিকার সমবায়বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী থেম্বেসাইল নকান্ডিমেং, যুক্তরাজ্যের এমপি হ্যারিয়েট ব্যাল্ডউইন, নাইজেরিয়ার আমেরিকান ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ড. মার্গি এনসাইন ও কমনওয়েলথ লোকাল গভর্নমেন্টের সেক্রেটারি জেনারেল লুসি স্লাক বক্তব্য রাখেন। কমনওয়েলথ উইমেন্স ফোরামে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নারী ও জেন্ডারবিষয়ক মন্ত্রীসহ ৫ শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী ও চেরি ব্লেয়ার ফাউন্ডশনের প্রতিষ্ঠাতা চেরি ব্লেয়ারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় চেরি ব্লেয়ার বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি যুক্তরাজ্য লেবার পার্টির এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকের নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ এবং বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।