বন্যায় উদ্ধার ও ত্রাণ : সরকারের উদাসীনতার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ বাম জোটের

আগের সংবাদ

ত্রাণ পৌঁছেনি প্রত্যন্ত জনপদে : এখনো পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ, সিলেট বিভাগে বন্যায় ২২ জনের মৃত্যু

পরের সংবাদ

কবির ১১১তম জন্মবার্ষিকীতে মহিলা পরিষদ : সুফিয়া কামাল ছিলেন নারী আন্দোলনের মশালবাহক

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারীর মুক্তিকে মানবমুক্তি হিসেবে দেখার যে মন্ত্র বেগম রোকেয়া ছড়িয়েছিলেন, সেই মন্ত্রে এবং কাজে দীক্ষিত ছিলেন বেগম সুফিয়া কামাল। তাকে কেন্দ্র করেই রোকেয়া-পরবর্তী বাংলাদেশের নারী আন্দোলন অগ্রসর হতে থাকে। তার জীবনকর্মের আলেখ্য তরুণপ্রজন্মসহ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান বিশিষ্টজনেরা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি সুফিয়া কামালের ১১১তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে সুফিয়া কামাল স্মারক বক্তৃতা ও সম্মান না অনুষ্ঠানে তারা এই আহ্বান জানান।
গতকাল সোমবার বিকালে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। ‘সুফিয়া কামাল ও নারীবাদী আন্দোলন’ শীর্ষক স্মারকবক্তৃতা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু। অনুষ্ঠানের শুরুতে কবি সুফিয়া কামালের জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী বুলবুল ইসলাম ও সুস্মিতা আহমেদ। এবছর কবি সুফিয়া কামাল সম্মাননা প্রদান করা হয় বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ইফ্ফাত আরা দেওয়ানকে। সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তির পরিচিতি পাঠ করেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক দিল আফরোজ বেগম। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম।
ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারী আন্দোলন সামাজিক আন্দোলনের অংশ, যা মহিলা পরিষদের দীর্ঘ পদযাত্রায় প্রমাণিত। বিশ্বব্যাপী বহমান নারী আন্দোলন বাংলাদেশে নারী আন্দোলনকে সঞ্জীবীত করবে। আর জাতীয় বিকাশে নারীর অংশগ্রহণ আরো অগ্রগামী করবে। ডা. মালেকা বানু বলেন, বেগম রোকেয়ার নারীবাদী দর্শনের সঙ্গে সুফিয়া কামালের সং¯্রব ঘটে এবং তার নানা ধরনের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নারী মুক্তির আন্দোলন অগ্রসর হতে থাকে। তিনি নারী মুক্তির আন্দোলন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন সৃষ্টিশীল উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, বেগম সুফিয়া কামালের সাহিত্যিক অভিযাত্রায়

বেগম রোকেয়ার নারীবাদী প্রভাব ছিলো। ১৯৭০ সালে মহিলা পরিষদ গঠিত হওয়ার পরে এদেশের নতুন নারীদের আন্দোলন-সংগ্রামের মশালবাহক হয়ে ওঠেন সুফিয়া কামাল। তিনি দীর্ঘ সংগ্রামী অভিজ্ঞতায় বুঝেছিলেন, দেশের সব নারী আন্দোলনকারী সংগঠনকে এক সূত্রে বেঁধে, এক স্বরে নারীনির্যাতন বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলেই কেবল সাফল্য আশা করা সম্ভব। ইফ্ফাত আরা দেওয়ান স্মৃতিচারণ করে বলেন, শৈশব থেকেই কবি সুফিয়া কামালের সঙ্গে সময় কেটেছে। আমার সংগীত কর্মসহ সব কর্মকাণ্ডের প্রেরণাদাত্রী ছিলেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়