মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৪৪

আগের সংবাদ

উদ্ধারের অপেক্ষা আর ত্রাণের আকুতি : পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ > ভেসে উঠছে বানভাসি মানুষের লাশ > এখনই সচল হচ্ছে না ওসমানী বিমানবন্দর

পরের সংবাদ

মালয়েশিয়ার বিবৃতি : এজেন্সি বাছাইয়ে হাত নেই বাংলাদেশের

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ পরিস্থিতি তুলে ধরে বিবৃতি দিয়েছেন দেশটির মানবসম্পদবিষয়কমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রেরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর গতকাল রবিবার মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এম সারাভানান জানিয়েছেন, শ্রমিক নিয়োগের ২৫টি রিক্রুটমেন্ট কোম্পানি বাছাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, তার সঙ্গে আমার বৈঠক এবং বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে বর্তমান অবস্থার ব্যাখ্যা ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বৈঠকে বিদেশি শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা এবং আমার মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের উন্নততর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ১৫২০টি রিক্রুটমেন্ট কোম্পানির একটি তালিকা দিয়েছিল। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় বাছাই করেছে ২৫টি কোম্পানিকে। এই উদ্যোগ শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ছিল মাত্র ১০টি কোম্পানি। এই ১০টি কোম্পানির একচেটিয়া ব্যবসার কারণে বহু শ্রমিক প্রলুব্ধ হয়েছেন এবং উভয় দেশের বিভিন্ন এজেন্সির কাছে জিম্মি থেকেছেন।
তাই বিদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ এবং জীবনধারাকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে রিক্রুটমেন্ট কোম্পানির সংখ্যা ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫টি করতে সম্মত হই আমরা। যাতে ২৫টি কোম্পানির ক্ষেত্রে চেক এন্ড ব্যালেন্স কৌশল নিশ্চিত করা যায়। একচেটিয়া ব্যবসা ও নিয়ম লঙ্ঘন যাতে না হয় সেজন্য কর্মোদ্যম ও অভিজ্ঞ শ্রমিক পাওয়ার উদ্যোগ নেয় মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশের তালিকা থেকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় আরো ২৫০টি কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়। যারা ওই ২৫টি কোম্পানির অধীনে কাজ করবে। আরো সহজ করে বলা যায়, ২৫টি কোম্পানির প্রতিটি ১০টি করে কোম্পানিকে অনুমোদন দিতে পারবে। তা করা যাবে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মান এবং নির্দেশনা অনুযায়ী। মন্ত্রী আরো বলেন, এখন ২৫টি এবং ২৫০টি কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য কি? সর্বপ্রথম মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় শুধু ২৫টি নির্দিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে কাজ করবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নিবিড় নজরদারি থাকবে। বিদেশি শ্রমিকদের বসবাস ও কর্মক্ষেত্রের পরিস্থিতি তথা তাদের কল্যাণের বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী হচ্ছে কিনা সেটাই নিশ্চিত করা। জোরপূর্বক শ্রম মোকাবিলায় গুরুত্ব দিয়েছে মালয়েশিয়া। কারণ, এতে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দ্বিতীয়ত, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় যেসব প্রক্রিয়া বেঁধে দেবে,আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী ওই ২৫০টি কোম্পানি অনুসরণ করছে কিনা তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব এককভাবে ওই ২৫টি কোম্পানির। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু দেশকে শ্রমিক নেয়ার সোর্স হিসেবে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে, তা এখানে পরিষ্কার করতে চাই। এর বিপক্ষে মন্ত্রণালয় বলতে চায় যে, চাহিদা পূরণের জন্য বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে আমাদের সম্মানিত কোম্পানিগুলো যে দাবি তোলে তা অনুমোদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত শুধু মন্ত্রণালয়। শ্রমিক নিয়োগের সোর্স হিসেবে ১৪টি দেশের মধ্যে শুধু বাংলাদেশ নয়, যে কোনো দেশ থেকে যে কোনো কোম্পানি তাদের শ্রমিক সংগ্রহ করতে পারবে।
তিনি বলেন, আমি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তা হলো, শ্রমিক নিয়োগে পূর্বের মতো তাড়াহুড়ো করে সরাসরি এবং বিশেষ অনুমোদন দেয়া হবে না। আগের ওই চর্চার ফলে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। আমাদের আন্তর্জাতিক সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই অনুমোদন অবশ্যই আসতে হবে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে। যে চর্চা কঠোরভাবে শুরু হয়েছে। দৃশ্যত এটি একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতে এর একটি ইতিবাচক ফল আছে। বুধবার থেকে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের জন্য ওয়ান স্টপ সেন্টারে সবার জন্য তথ্য দেয়া আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়