মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৪৪

আগের সংবাদ

উদ্ধারের অপেক্ষা আর ত্রাণের আকুতি : পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ > ভেসে উঠছে বানভাসি মানুষের লাশ > এখনই সচল হচ্ছে না ওসমানী বিমানবন্দর

পরের সংবাদ

প্রত্যাবাসনসহ ১৯ দফা দাবি : রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ‘বাড়ি চলো’ সমাবেশ

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জসিম আজাদ, উখিয়া (কক্সবাজার) থেকে : কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা ?দ্রুত নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ ১৯টি দাবি তুলে ধরে সমাবেশ করেছেন। গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রোহিঙ্গাদের এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘গো হোম’ ব্যানার নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন রোহিঙ্গারা।
যেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার পাশে লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-ব্লকে নিজ কার্যালয়ে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ একই দাবিতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশের নেতৃত্বে ছিলেন। তবে এবারের সমাবেশের একক কোনো আয়োজক কিংবা নেতৃত্বের পর্যায়ের কেউ সামনে না এলেও প্রচারপত্রে আয়োজক হিসেবে ‘নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী’ লেখা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই ডাকা, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে আরাকানের গ্রামে গ্রামে

প্রত্যাবাসন, প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রত্যেক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, এনজিও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা, বার্মার ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, সম্পত্তি ফেরত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারসহ ইত্যাদি দাবি উত্থাপন করা হয় সমাবেশে।
এই সমাবেশে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।
সমাবেশে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের সদস্য নুরুল আমিন বলেন, আমরা বাংলাদেশে আর থাকতে চাই না। নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই। বিশ্ববাসীর কাছে দাবি জানাচ্ছি, আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্বদেশে ফিরে যেতে সহায়তা করুন। পাশাপাশি বিপুল রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
রোহিঙ্গা ইয়ুথ এসোসিয়েশনের সভাপতি কিন মং বলেন, সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরতে চাই আমরা। সমাবেশে আমরা এই দাবিটাই জানাচ্ছি বিশ্ববাসীর কাছে। বাংলাদেশ সরকার আমাদের আশ্র?য় দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। আমরা কৃতজ্ঞ।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এসপি নাইমুল হক জানান, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য এপিবিএন পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল।
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, রোহিঙ্গারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানাচ্ছে। তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ছাড়া রোহিঙ্গাদের বড় কোনো জমায়েত কিংবা বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।
জানা গেছে, ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একসঙ্গে পৃথক পৃথক স্থানে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সমাবেশে তারা গণহত্যার বিচার, দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ ১৯টি দাবি তুলে ধরেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়