মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৪৪

আগের সংবাদ

উদ্ধারের অপেক্ষা আর ত্রাণের আকুতি : পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ > ভেসে উঠছে বানভাসি মানুষের লাশ > এখনই সচল হচ্ছে না ওসমানী বিমানবন্দর

পরের সংবাদ

পাহাড়ধসে প্রাণহানি : উচ্ছেদ অভিযান শুরু, পুনর্বাসন নিয়ে উৎকণ্ঠা

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : পাহাড়ধসে প্রাণহানির পর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এই উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা অংশ নিয়েছে। গতকাল সকাল থেকে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে প্রশাসন। এর আগের দিন শুক্রবার রাতে নগরের আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনা ও ফয়’স লেকের বিজয়নগর এলাকায় পৃথক পাহাড়ধসে ৪ জন প্রাণ হারান ও ১১ জন আহত হন।
চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে পাহাড়ধসের শঙ্কার কথা জানানো হলেও এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ ছিল না জেলা প্রশাসনের। গতকাল সারাদিন আকবর শাহ থানার এক নম্বর ঝিলের বরিশাল ঘোনা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৪৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও উচ্ছেদকৃতদের পুনর্বাসন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন।
উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ যেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে সেখানে পুনরায় কেউ দখলে নিয়ে যেন স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে গাছ লাগানো হবে। কেউ এ সীমানা ভেঙে বসতি গড়ে তুললে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকেও বলেছি তাদের আওতাধীন পাহাড়ি জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সেখানে কাঁটা তারের বেড়া ও গাছ লাগিয়ে সংরক্ষণ করতে।
চট্টগ্রামের অন্যান্য পাহাড়েও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরানো হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মমিনুর রহমান বলেন, পাহাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। গত বছর আমরা ৪৬৫টি কাঁচা, সেমিপাকা ঘর উচ্ছেদ করেছি। যারাই পাহাড়ের ঢালুতে অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপন করবে, তাদের উচ্ছেদ করা হবে। তিনি জানান, হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ড এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাস করা ২৩৫টি পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরও ৮৫টি পরিবার স্থানান্তর করা হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের জন্য বরাদ্দ করা ঘরগুলো নির্মাণ হয়ে যাবে। তারপর যারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে পুনর্বাসন করতে পারব। কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সিটি করপোরেশন এলাকায় যারা পাহাড়ে বসবাস করছেন, তাদের পুনর্বাসন করা। তাদের বিষয়েও আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। আমরা জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় একটি প্রকল্প নেয়ার চেষ্টা করছি। সেটি করতে পারলে শহর এলাকার ভূমিহীন মানুষদের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় পুনর্বাসন করতে পারব।
অভিযানে অংশ নেয়া নগরের কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওমর ফারুক বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের পর আবারো কেউ যদি পাহাড়ের পাদদেশে ঘর-বাড়ি তৈরি করে
তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, সব অবৈধ স্থাপনার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়