নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : নন্দীগ্রামে বৃষ্টির পানিতে বিজরুল সরকারি হাসপাতাল সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রোগী আসা-যাওয়ার এই সড়কে ভোগান্তি বেড়েছে। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। ফলে ক্ষতির মুখে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মুখে বিজরুল বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। নিচু রাস্তা, নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ৩৬ ঘণ্টা জলাবদ্ধতা থাকার পর পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা কেটে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, নিচু সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণকাজ ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষণিকের বৃষ্টিতে ডুবে যায় সড়ক। ফলে বছরের পর বছর দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শত শত মানুষ। তবে উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, সড়কের দুই পাশে হাউজিং। তারা বাসাবাড়ির পানি সরাসরি সড়কের উপর ফেলায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিজরুল সরকারি হাসপাতাল, ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ, বিজরুল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মেধা বিকাশ কেজি একাডেমি, বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, বিজরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে যাতায়াতের এই সড়কে চলাচলরত যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
বিজরুল বাজারে এই সড়কের সঙ্গে হাটকড়ই, নন্দীগ্রাম সদর, বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক এবং জামাদার পুকুর হয়ে বগুড়া, নাটোর, রাজশাহী ও রাজধানীর ঢাকায় যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আতাইল বাজার থেকে বিজরুল-বর্ষণ মোড় পর্যন্ত ৪ কিলো ১০০ মিটার সড়কের নির্মাণকাজ গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে। চলতি জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।
বিজরুল বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল, নুরনবী, রেজাউল ও মনজুর রহমান বলেন, বৃষ্টি হলে দোকানে পানি ঢুকে ব্যবসার ক্ষতি হয়। নিচু রাস্তা উঁচু করে নির্মাণকাজ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা করলে আর জলাবদ্ধতা হতো না। ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিজরুল বাজারের এই সড়কে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা জরুরি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী শা-রিদ শাহনেওয়াজ বলেন, সড়কটি আরো নিচু ছিল, অনেকটা উঁচু করে তারপর নতুন করে নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। জলাবদ্ধতার খবর পেয়ে তিনি সরজমিন গিয়েছিলেন। এক ব্যক্তি রাস্তার পাশে তার পুকুরের পাড় উঁচু করায় সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সেখানে নালা কেটে পানি নামার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নালা বন্ধ করে ফের জলাবদ্ধতা হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।