মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৪৪

আগের সংবাদ

উদ্ধারের অপেক্ষা আর ত্রাণের আকুতি : পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ > ভেসে উঠছে বানভাসি মানুষের লাশ > এখনই সচল হচ্ছে না ওসমানী বিমানবন্দর

পরের সংবাদ

জেসিসি বৈঠক : পানিবন্টনসহ ৩ ইস্যুতে সহযোগিতা বাড়াতে ঐকমত্য

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং সীমান্ত সমস্যা সমাধানের বিষয়ে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে একমত হয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারত। গতকাল রবিবার ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শ কমিশনের (জেসিসি) ৭ম বৈঠকে এসব বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে যৌথভাবে চেয়ার হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। বেঠকশেষে যৌথ বিবৃতিতে তারা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত দুই দেশের সম্পর্কের উষ্ণতা বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক’ কৌশলগত অংশীদারত্বের প্রথাগত সীমা অতিক্রম করেছে বলে মন্তব্য করেন।
এছাড়া ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরকালে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসমূহকে স্বাগত জানান।
বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে অভিহিত করে তারা বলেন, এই আস্থা ও বিশ্বাসের বন্ধন বিগত এক দশকে আরো মজবুত হয়েছে। এর অনন্য নিদর্শন কান চলচ্চিত্র উৎসবে দুই দেশের যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক বায়োপিক ‘মুজিব- মেকিং অব আ নেশন’ এর ট্রেইলার প্রদর্শন। কোভিড মহামারিকাল পেরিয়ে এই প্রথমবারের মতো শারীরিক উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠানের প্রেক্ষিতে দুই দেশের যৌথভাবে কোভিড যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার কথা উল্লেখ করেন। পাশাাপশি ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, কোভিড চ্যালেঞ্জের মধ্যেও নিরাপত্তা ও সীমান্তব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে উভয়পক্ষের জন্য সুবিধাজনক ব্যবসা ও বিনিয়োগ প্রবাহের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় ও উপআঞ্চলিক যোগাযোগ, বৃহত্তর বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি সহযোগিতা, উন্নয়ন সহায়তা ও ক্ষমতায়ন, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও মানুষে মানুষে সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ প্রতিটি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো জোরদার হয়েছে। একইসঙ্গে অভিন্ন নদী ও পানির উৎস ব্যবস্থাপনা, আইটি ও সাইবার নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য জ¦ালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছান। তারা বলেন, শীর্ষস্তরে সফর বিনিময়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দ্বিপক্ষীয় খাতে পারস্পরিক সহযোতিা ও বন্ধন আরো নিবিড় হয়েছে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিজের দেশে নিরাপদ, দ্রুত ও টেকসই প্রত্যাবাসনের গুরুত্বের প্রশ্নে একমত হন তারা। তারা আরো জানান, চলতি দফায় দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সপ্তম বৈঠকের পরবর্তী জেসিসির অষ্টম বৈঠক ২০২৩ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে নয়াদিল্লিতে প্রথম জেসিসি বৈঠকে বসে বাংলাদেশ-ভারত। গত ১০ বছরে মোট ছয়বার জেসিসি বৈঠক হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে ঢাকার নেতৃত্বে ভার্চুয়ালি জেসিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সপ্তম জেসিসি বৈঠকটি গত ৩০ মে দিনক্ষণ ঠিক হলেও পরবর্তীতে সেটি পিছিয়ে যায়।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন গত শনিবার তিনদিনের ভারত সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছান। আজ সোমবার তিনি ভারতের উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সাথে বৈঠক করবেন। এরপর আজই তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়