মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৪৪

আগের সংবাদ

উদ্ধারের অপেক্ষা আর ত্রাণের আকুতি : পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ > ভেসে উঠছে বানভাসি মানুষের লাশ > এখনই সচল হচ্ছে না ওসমানী বিমানবন্দর

পরের সংবাদ

চাঁদপুরে হলুদ ড্রাগন চাষে সাফল্য

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ল²ণ চন্দ্র সূত্রধর, চাঁদপুর থেকে : চাঁদপুরে এই প্রথম বিশ্বখ্যাত দুর্লভ হলুদ ড্রাগন ফলের সফল ফলন হয়েছে ফ্রুুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো প্রকল্পে। চাঁদপুর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার অদূরের শাহ্ মামুদপুর ইউনিয়নে একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় বালু ভরাট করে সেখানে ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো গড়ে তোলেন সাংবাদিক এ এম এম হেলাল উদ্দিন।
প্রতিষ্ঠানটি শুরুর পর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে একের পর এক বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষাবাদ করে ইতোমধ্যে চমক লাগিয়েছেন তিনি। এতে করে তার এ ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো প্রকল্পের সাফল্যতাও পেয়েছেন সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন। এবার তিনি এই প্রকল্পে দুর্লভ হলুদ ড্রাগন ফলের সফল ফলনেও চমক দেখালেন।
ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো প্রকল্পে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসেন দর্শনার্থীরা। অনেকে এখানে এসে তাদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখে মনের আনন্দে নিজেদের ছবি তোলেন এই প্রকল্পের দুর্লভ হলুদ ড্রাগন ফলের বাগানের ফলগাছসহ।
স্থানটি ডাকাতিয়া নদী তীরবর্তী হওয়ায় হলুদ ড্রাগন ফলের জন্য উপযোগী হয়েছে। তাছাড়া বাগানটি পর্যটন কেন্দ্রেরও রূপ বহন করছে।
উদ্যোক্তা সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন বলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলীতে পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় ২০২০ সালে ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো গড়ে তোলা হয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ প্রজাতির বিদেশি উচ্চ মূল্যের ফলের আবাদ করা হয়েছে। অধিকাংশ জাতই বিদেশে উচ্চমূল্যের ফল হিসেবে খ্যাত এবং এ দেশের মাটি ও আবহাওয়ায় সম্পূর্ণ নতুন জাত। এর মধ্যে একটি খুবই দুর্লভ জাতের হলুদ ড্রাগন, যা বিশ্বে ‘কুইন অব ড্রাগন’ হিসেবে খ্যাত। বাজারে প্রচলিত হলুদ রংয়ের ড্রাগনের সঙ্গে এর মিল নেই। স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয়। মিষ্টতা অনেক বেশি এবং রসালো। এর পুষ্টিগুণ অন্য সব ড্রাগনের তুলনায় অনেক বেশি। এ হলুদ রংয়ের ড্রাগন সঠিকভাবে চাষাবাদ করা গেলে এই দেশের ড্রাগনচাষিদের মুখে হাসি ফুটাবে। এই জাত হবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক হলুদ রংয়ের ড্রাগন জাত।
ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রোর সহকারী ম্যানেজার সোহান চৌধুরী বলেন, বাণিজ্যিকভাবে ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো প্রকল্পে ৬টি ভিন্ন জাতের ড্রাগন ফলের আবাদ করা হয়েছে। বিভিন্ন পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা করতে সার্বক্ষণিকভাবে ড্রাগন গাছে ব্যাপক পরিচর্যা করতে হয়।
ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রোতে ঘুরতে আসা রিয়াদ ফেরদৌস ও শরীফুল ইসলাম বলেন, নতুন জাতের দুর্লভ হলুদ ড্রাগন ফল দর্র্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই নতুন জাতের ড্রাগন চাষাবাদ করে উদ্যোক্তারা বিপ্লব ঘটাতে পারবেন।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, হলুদ ড্রাগন সাড়া ফেলেছে। কৃষক এবং ব্যক্তি পর্যায়ে এই ফলটিকে জনপ্রিয় করতে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়