উদ্ধার করা হয়েছে সুনামগঞ্জে আটকা পড়া ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীকে

আগের সংবাদ

আশ্রয়-খাবার নেই, ত্রাণ নামমাত্র : সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার ভয়ংকর নির্মমতা > দুই জেলায় তিনজনের মৃত্যু > সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ চালু

পরের সংবাদ

হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি : মাধবপুর-মনতলা সড়কের কাজ শেষ হয়নি ৩ বছরেও

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজীব দেব রায় রাজু, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে : হবিগঞ্জের মাধবপুর-মনতলা হয়ে ধর্মঘর পর্যন্ত সড়কের কাজ ৩ বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কচ্ছপ গতিতে কাজ করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। সড়কে বড় বড় গর্ত থাকায় প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। ঠিকাদার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী। ভোগান্তির কথা স্বীকার করেছেন হবিগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী।
জানা গেছে, মাধবপুর মনতলা হয়ে ধর্মঘর সড়কটির সংস্কার করার জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালে টেন্ডার দিলে কাজ পান মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ। কয়েকবার কাজের সময় বাড়িয়েও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদ রয়েছে। কিন্তু এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একদিকে কচ্ছপ গতিতে চলছে কাজ অন্যদিকে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।
রিকশাচালক আলী আকবর জানান, রাস্তার কাজটি অনেক দিন এই অবস্থা। তাছাড়া ইটগুলো ভালো নয়। মো. আনোয়ার মিয়া নামে একজন জানান, রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তায় যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো এক নম্বর মাল না। নাজমুল হোসেন নামে এক যুবক জানান, আমি এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আসা যাওয়া করি। এতদিন আসা যাওয়ার ফলে ধুলোতে চেহারা ধলা (সাদা) হয়ে যেত। এখন শরীর লাল হয়ে যাবে। রাস্তার কোয়ালিটি খুবই খারাপ। আমি মনে করি ইট ভালো কোয়ালিটির না। হরি দেব নাথ নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জানান, আমরা অনেক দিন ধরে এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাই। রাস্তার বেহাল দশা। গাড়ি চালাতে সমস্যা হয়। অনেক সময় এক্সিডেন্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির দিন আসলে অনেক কষ্ট হয় চলাফেরা করতে। একটু একটু কাজ করে। দুনম্বর ইট দিয়ে কাজ করে। হালকা বৃষ্টি হলেই গাড়ি আটক হয়ে যায়। এই রাস্তাটি নিয়ে ৫ বছর ধরে ভোগান্তি হচ্ছে। বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন জানান, মাধবপুর চৌমুহনী রোডে দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ চলছে। এর সঙ্গে অন্য ঠিকাদাররা কাজ শেষ করে বিল নিয়ে গেছে। এতই নিম্নমানের কাজ করছেন যেটা আপনারা সরাসরি অবলোকন করতে পারেন।
হবিগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাছির জানান, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহৃত হলে এটি আমরা ক্যানসেল করে দিব, রিজেক্ট করে দিব। আর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দিচ্ছি সেম্পল পাঠানোর জন্য। ল্যাবরেটরিতে যদি টেস্ট করে নিম্নমানের পাওয়া যায় আমরা রিজেক্ট করে দিব। আর তার মেয়াদ আছে ৩০ জুন পর্যন্ত। এরপর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিব এই কনট্রাক রাখা যাবে কি যাবে না। আমাদের চিন্তা ভাবনা হলো কনট্রাক না রাখা। তিনি অনেক দিন ধরে আমাদের ভোগাচ্ছে। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নলেজে আছে। ৩০ জুন পর্যন্ত যেহেতু সময় আছে সেহেতু যতটুকু করা যায় করবে। বাকিটা আমরা আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়