উদ্ধার করা হয়েছে সুনামগঞ্জে আটকা পড়া ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীকে

আগের সংবাদ

আশ্রয়-খাবার নেই, ত্রাণ নামমাত্র : সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার ভয়ংকর নির্মমতা > দুই জেলায় তিনজনের মৃত্যু > সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ চালু

পরের সংবাদ

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট : সংস্কৃতি খাতে এক শতাংশ বরাদ্দসহ ৮ দফা দাবি

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সংস্কৃতিকে জাতির মনন বিকাশের সোপান বিবেচনা করে সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে এক শতাংশ বরাদ্দসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। গতকাল শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। এই বরাদ্দের একটি বড় অংশ কাঠামোগত উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, সংগঠনের অনুদান, শিল্পী সম্মানী এবং বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে বলেও জানান তারা। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জোটের সহসভাপতি ঝুনা চৌধুরী, অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী, জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সহসভাপতি অনন্ত হীরা, পথনাটক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান, সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, চলচ্চিত্র নির্মাতা মানজারে হাসিন মুরাদ, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের রেজিনা ওয়ালি লীনা। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজহারুল হক আজাদ।
জোটের দাবিগুলো হলো- উপজেলা পর্যায়ে অবিলম্বে একজন করে শিল্পকলা অফিসার নিয়োগ; সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিল্পীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় সংগীত, নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি ও চারুকলার স্থায়ী প্রশিক্ষক নিয়োগ; বেতার-টেলিভিশনসহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠান ও অনুষ্ঠানে শিল্পী, যান্ত্রী ও কারিগরি কর্মীদের যুগোপযোগী আর্থিক সম্মানী প্রদান; সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ জাতীয়ভিত্তিক সাংস্কৃতিক ফেডারেশনগুলোর স্থায়ী দপ্তর নির্মাণের জন্য মতিঝিলের ক্রীড়া পল্লীর অনুরূপ জায়গা বরাদ্দ করা; বহুমুখী শিক্ষার পরিবর্তে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু; সরকারের বড় বড় সাংস্কৃতিক আয়োজনে জাতীয়ভিত্তিক সাংস্কৃতিক ফেডারেশনগুলোকে সম্পৃক্ত করে শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা; বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উৎসব বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা; জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারিভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিকল্পনার সঙ্গে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনকে যুক্ত করা; আমলাতন্ত্রের কর্তৃত্বমুক্ত সংস্কৃতিচর্চা ও আয়োজন নিশ্চিত করাসহ সংস্কৃতিকর্মীদের আবাসনের জন্য সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণেরও দাবি জানানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়