উদ্ধার করা হয়েছে সুনামগঞ্জে আটকা পড়া ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীকে

আগের সংবাদ

আশ্রয়-খাবার নেই, ত্রাণ নামমাত্র : সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার ভয়ংকর নির্মমতা > দুই জেলায় তিনজনের মৃত্যু > সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ চালু

পরের সংবাদ

যখন গাড়িতে গ্রিন ফুয়েল

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) যখন গাড়িতে ব্যবহার হয়, তখন সেটিকে বলা হয় অটোগ্যাস নামে। এলপিজিকে ক্লিন বা গ্রিন ফুয়েল বলেও আখ্যায়িত করা হয়। প্রোপেন ও বিউটেনের সংমিশ্রণে উৎপন্ন এ গ্যাসটি পেট্রল ও অকটেনের বিকল্প হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ইঞ্জিনের জন্যও এই জ্বালানি বেশি কার্যকর এবং নিরাপদ। সিএনজির চেয়ে ওজন এক-তৃতীয়াংশ কম। সিলিন্ডারে চাপ কম থাকায় বিস্ফোরণের ঝুঁকিও অনেক কম।

জ্বালানি হিসেবে তেল মানে অকটেন, পেট্রল ও ডিজেল বহুল পরিচিত। গাড়ি চালানোর খরচ কমাতে দেশে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) বা প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়। এই গ্যাসের মূল্য কম হলেও ইঞ্জিনের জন্য কমবেশি ক্ষতিকর। সাধারণত আমাদের দেশে যে গাড়িগুলো আমদানি করা হয়, সেগুলো তরল জ্বালানি দিয়ে চালানোর জন্য তৈরি। সিএনজি গ্যাস শুষ্ক হওয়ায় ইঞ্জিনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তেলের খরচ কমিয়ে এবং ইঞ্জিনের ক্ষতি না করে নতুন একটি জ্বালানি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গ্যাসটির নাম লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)।

এলপিজিতে ৪০ শতাংশের বেশি জ্বালানি খরচ সাশ্রয় হয়। তরল হয়ে এই গ্যাস ইঞ্জিনে প্রবেশ করায় আলাদা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না।
গাড়িতে এলপি গ্যাস নেওয়ার জন্য যে সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়, তা সিএনজি সিলিন্ডারের ওজনের তুলনায় প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। সিএনজি গ্যাসে ২০০ বারের (বিএআর) অধিক চাপ বা প্রেসার থাকতে হয়। যেখানে এলপিজিতে ৭.৫ বার চাপ বা প্রেসার থাকে। একটি ৬০ লিটার সিএনজি সিলিন্ডারের পরিধি ও দৈর্ঘ্য হয় যথাক্রমে ১০৫৪ ও ১০১৬ মিলিমিটার। এলপিজি সিলিন্ডারের পরিধি ও দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৩১৪ ও ৮৬৩ মিলিমিটার। সিএনজি গ্যাস ইঞ্জিনে ২০০ থেকে ৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপ উৎপাদন করে। এলপি গ্যাসে এই তাপমাত্রা ১৩১ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
প্রতি লিটার এলপিজির মূল্য বর্তমানে ৫০.৫৬ টাকা, যে কারণে যানবাহনে এলপিজি সিলিন্ডার কনভারসনের হার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এলপিজি সিলিন্ডার একবার পূর্ণ করলে তা দিয়ে সিএনজির তুলনায় চার বা পাঁচ গুণ বেশি দূরত্ব অতিক্রম করা যায়।
এলপি গ্যাসে সিএনজির তুলনায় কম কার্বন নিঃসরণ হয়। এলপিজির সিলিন্ডারের প্রেশার সিএনজি সিলিন্ডারের তুলনায় মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ। তাই এতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা নেই বললেই চলে। সিএনজিতে ২৫ শতাংশ সিস্টেম লস থাকে, যেখানে এলপিজির সিস্টেম লস মাত্র ৫ শতাংশ। সিএনজির মতো দুটি পদ্ধতিতে গাড়িকে এলপি গ্যাস জ্বালানিতে ব্যবহারের জন্য রূপান্তর করা হয়। সিকুয়েনশিয়াল পদ্ধতিতে কম্পিউটার দিয়ে ডায়াগনসিস ও টিউনিং করে গাড়িকে এলপি গ্যাসের জন্য রূপান্তর করা হয় এবং ইনজ্যাকশন পদ্ধতিতে ম্যানুয়েল টিউনিং করেও গাড়িকে রূপান্তর করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়