উদ্ধার করা হয়েছে সুনামগঞ্জে আটকা পড়া ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীকে

আগের সংবাদ

আশ্রয়-খাবার নেই, ত্রাণ নামমাত্র : সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার ভয়ংকর নির্মমতা > দুই জেলায় তিনজনের মৃত্যু > সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ চালু

পরের সংবাদ

বৈঠকে সিদ্ধান্ত : বন্যার্তদের সহায়তায় মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করবে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্ত নারী, পুরুষ ও শিশুদের রক্ষায় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে নৌকা, ওরস্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও শুকনো খাবারসহ অন্যান্য জীবনরক্ষাকারী সামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি এ জরুরি বৈঠক ডাকে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্যরাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী বলেন, বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বন্যার্তদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে সরকার ও আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মাঠে রয়েছেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সহযোগিতা দেয়ার লক্ষ্যে বেশ কিছু কমিটি গঠন করা হয়। আক্রান্ত উপজেলাগুলোতে দ্রুত ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির টিম সাহায্য নিয়ে যাবে। এই প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি ও সংগঠন পর্যায়ে সব সামর্থ্যবানদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সুজিত রায় নন্দী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জাতি আজ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বসেরা। আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে মানবতার রাজনীতি, কল্যাণ সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের রাজনীতি। বন্যাসহ দেশের প্রতিটি সমস্যা মোকাবিলায় সরকার, দল এক ও অভিন্নভাবে কাজ করছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জে বানভাসি মানুষকে রক্ষায় সরকার ও দলের সার্বক্ষণিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা।
এদিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বন্যার্তদের জন্য ৬০০ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার্তদের উদ্ধার করে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি ও আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্তদের জন্য সরকারিভাবে ৩০ লাখ করে মোট ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০০ টন চাল, আট হাজার করে শুকনো খাবারের প্যাকেট দেয়া হয়েছে। যেখানে চাল, ডাল, তেল, চিনি ও মসলা রয়েছে। এ ছাড়াও সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা এবং বন্যা মোকাবিলায় সব তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে সরকার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়