কাগজ প্রতিবেদক : শনিবার বিকালে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। সেনাবাহিনীসহ দেশের সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।
যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান। উদ্ধার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী কার্যক্রম চালাবে বলেও জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবে, মে মাসের বন্যায় গত ১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানি হয় সিলেটে। তবে চলমান বন্যা গত মাসের রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে।
বুধবার (১৫ জুন) থেকে সিলেটের নিচু এলাকায় পানি জমে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তা ভয়াবহ রূপ নেয়।
বন্যার পানির আকস্মিক বৃদ্ধিতে হতভম্ব ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষ। ভয়াবহ বন্যায় লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়েও জায়গা পাচ্ছেন না। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছেন বানভাসি মানুষ। এছাড়া কৃষকরা তাদের গৃহপালিত পশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা মানবিক সংকট মোকাবিলায় সবাইকে সাধ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জেও দুদিন ধরে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলা।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ। পুরো সুনামগঞ্জ শহর পানিতে ডুবে গেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মতো সুযোগও নেই।