উদ্ধার করা হয়েছে সুনামগঞ্জে আটকা পড়া ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীকে

আগের সংবাদ

আশ্রয়-খাবার নেই, ত্রাণ নামমাত্র : সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার ভয়ংকর নির্মমতা > দুই জেলায় তিনজনের মৃত্যু > সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ চালু

পরের সংবাদ

কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবে পদ্মা সেতু

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) থেকে : স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হলেই কুষ্টিয়াসহ দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সহজেই যেতে পারবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে। এতে কৃষিপণ্যের পরিবহন খরচ যেমন কমবে তেমনি কৃষকরাও পাবেন ন্যায্যমূল্য। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ভাগ্যে পরিবর্তন ঘটবে বলে আশা করছেন এই এলাকার কৃষকরা।
মিরপুর উপজেলার কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, কেবল পরিবহনের কারণে কুষ্টিয়ার অনেক সবজি যেতে পারে না ঢাকার বাজারে। পোড়াদহর কৃৃষক সজীব রহমান বলেন, কুষ্টিয়ার স্থানীয় বাজারে দাম কম পায় কৃষকরা। দেখা যায়, একদিকে পরিবহন খরচের সমস্যা, অন্যদিকে সময় বেশি লাগায় নষ্ট হয় অনেক সবজি। পদ্মা সেতুটি চালু হলে সবজিসহ কৃষিপণ্য অতিদ্রুত পৌঁছে যাবে রাজধানীর বাজারে। সেতুটির মাধ্যমে কুষ্টিয়ার কৃষকদের ভাগ্য বদলে যাবে বলে মনে করছেন অনেক কৃষক।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা খলিসাকুণ্ডিতে কৃষক সলেমান আলী দীর্ঘদিন ধরে বেগুন, পটোল, কচুসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেন। তবে তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে হয় স্থানীয় বাজারে। কারণ জেলার বাইরে পাঠানো অনেক ব্যয়বহুল। তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে জিম্মি হয়ে আছি। কয়েকজন মিলে যে সবজি ঢাকায় পাঠাব, সেটি তো যেতে যেতেই নষ্ট হয়ে যায়, তাছাড়া গাড়ি ভাড়াও অনেক বেশি। যদি পদ্মা সেতু চালু হয়, তাহলে আমরা কম খরচে ঢাকার বাজারে সবজি বিক্রি করতে পারব।
কুষ্টিয়ার সবচেয়ে বড় কলার পাইকারি হাট বিত্তিপাড়া। এখান থেকে প্রতিদিনই কৃষকদের কাছ থেকে কলা কিনে নিয়ে ব্যবসায়ীরা ঢাকার বাজারে বিক্রি করেন। বিত্তিপাড়ার কৃষক সবেদ মুন্সি বলেন, প্রতিবছর ৭-৮ বিঘা জমিতে কলার আবাদ করি, এবারো করেছি। তবে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া অনেক খরচ। তাই এই বাজারে তুলনামূলক কম দামেই বিক্রি করে দিই। পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকার বাজারে বিক্রির সুযোগ পাব।
মিরপুর উপজেলার মশান এলাকার পানচাষি জাহিদুল ইসলাম বলেন, পান উৎপাদন হয় ভালো কিন্তু বাজারে দাম পাই না। যমুনা সেতু হয়ে ঢাকায় পাঠাতে অনেক সময় লাগে। এতে খরচও অনেক বেশি। তাই মিরপুরে হাটে বসে পান পাইকারি দরে বিক্রি করতে হয়। এতে খুব একটা লাভ হয় না। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হলে ঢাকায় বিক্রি করলে লাভ হবে।
কুষ্টিয়া কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক জানান, কুষ্টিয়ায় যে পরিমাণে সবজি উৎপাদন হয় সেটি স্থানীয় বাজারে বিক্রির কারণে কৃষকরা কম লাভবান হয়। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় বাজারে নিয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। আবার পরিবেশও অনুকূল নয়। তাই কৃষকরা বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। পদ্মা সেতু কুষ্টিয়া-ঢাকার দূরত্ব কমিয়ে আনবে। এতে কম খরচে কৃষকরা তাদের পণ্য ঢাকার বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন। ফলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়