প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর বাঙালি জাতি আরেকটা আনন্দ বিজয়ী উৎসব পালন করতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জুন। এই উৎসব হলো পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতু। গতকাল শনিবার ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতৃবৃন্দ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণআজাদী লীগের সভাপতি এডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের রেজাউর রশীদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির ডা. শাহাদাত হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, ডা. দিলীপ রায় প্রমুখ। সমাবেশ শেষে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আমরা পদ্মা সেতু অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের নেতৃত্বে আছেন বলেই সম্ভব হয়েছে। এই সেতু জাতির মাইলফলক। পদ্মা সেতুর করার মধ্যে দিয়ে আজ প্রমাণিত হয়েছে যে, বাঙালি জাতি যা ইচ্ছে করে তা করতে পারে।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, যারা দেশের মধ্যে থেকে দেশের উন্নয়নের বিরোধিতা করে, পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করে তারা হলো জাতীয় কুলাঙ্গার। এরাই হলো স্বাধীনতার পরাজিত শত্রæ দেশবিরোধী।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি নেতাদের ভিত্তিহীন বক্তব্যের সমালোচনা করে রাশেদ খান মেনন বলেন, যখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে তখন বহু দাবিদার এর দাবি নিয়ে আসছেন। একজন বলছেন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, একই দলের আরেকজন বলছেন ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু আমরা ইচ্ছাও প্রকাশ করিনি, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনাই। আজকে বাংলাদেশের মানুষের সামনে পদ্মা সেতু বাস্তব আর দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের সবচেয়ে বেশি উৎসবের, সবচেয়ে বেশি উদযাপনের।
শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর স্বপ্নপূরণ সম্ভব হয়েছে জানিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশ এমনিভাবেই এগিয়ে যাবে। কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষকে কেউ রুখে রাখতে পারেনি, আজও পারবে না, আগামীতেও পারবে না, পরশুও পারবে না। বাংলার মানুষ এই পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে। পদ্মা সেতু পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর মানুষের কাছে বাঙালি জাতিকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবেন।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।