ঢাবি প্রতিনিধি : চলমান ভয়াবহ বন্যায় দুরবস্থার কথা তুলে ধরে সিলেট ও সুনামগঞ্জ এলাকাকে ‘জাতীয় দুর্যোগপূর্ণ’ এলাকা ঘোষণা এবং দ্রুত ত্রাণ সহায়তা দেয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জালালাবাদ ছাত্র কল্যাণ সমিতি আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ভয়াবহ বন্যায় মানবিক বিপর্যয় ও ওই এলাকার মানুষের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে সুরমা, কুশিয়ারা, মনু নদীসহ হাওড় এলাকাকে দুর্যোগ মোকাবিলায় উপযোগী করে তোলা এবং সিলেট ও সুনামগঞ্জকে ‘জাতীয় দুর্যোগপূর্ণ’ এলাকা ঘোষণা করার দাবি জানান। এছাড়াও সরকারি উদ্যোগে দ্রুত যথাযথ ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর দাবি জানান তারা। এ সময় জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি শাহরিয়ার বলেন, অতি দ্রুত সিলেট ও সুনামগঞ্জকে ‘জাতীয় দুর্যোগপূর্ণ’ এলাকা ঘোষণা করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে দ্রুত যথাযথ ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে হবে। সুরমা, কুশিয়ারা, মনু নদীসহ হাওর এলাকাকে দুর্যোগ মোকাবিলায় উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে উপযুক্ত বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, আশ্রয়ণ প্রকল্প অত্যন্ত স্বল্প। এজন্য দ্রুত পর্যাপ্ত আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তুলতে হবে। বন্যায় যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাদের সরকারিভাবে অনুদান এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ঢাবির ইতিহাস বিভাগের রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমরা এমন একটা অবস্থায় আছি, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমাদের ছোট ভাইবোন কেমন আছে, সেই খবরটুকু জানি না। সুনামগঞ্জে যে ঘন ঘন বন্যা হচ্ছে, সেই বন্যার কারণ নির্ণয় করতে হবে। মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বলেন, সরকার ঘোষিত ডেল্টা প্ল্যানে মাত্র ৬টা প্রকল্প হাওর অঞ্চলে দিয়েছে। সেই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা। আমি বলব, সিলেটে বার বার বন্যা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সেটা অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। প্রসঙ্গত, গত দুদিন ধরেই সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা হানা দিয়েছে। এর কিছুদিন আগেই সিলেটে আরেকটি বন্যা হয়। পরপর বড় রকমের বন্যায় ওই এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।