আরো ৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

জলে ভাসা সিলেট এক বিচ্ছিন্ন জনপদ : ১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা > আশ্রয়ের খোঁজে অসহায় মানুষ > বন্যার্তদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, যুক্ত হচ্ছে হেলিকপ্টার-ক্রুজ

পরের সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি দূতাবাসের সামনে জামাল খাশুগজি ওয়ে

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত সৌদি আরবের দূতাবাসের সামনের সড়কের নামকরণ করা হয়েছে নিহত সাংবাদিক জামাল খাশুগজির নামে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে যে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের নির্মম ঘটনা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এতে নড়বড়ে হয়ে যায় সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক। খবর বিবিসি।
সেই সম্পর্ক ঠিক করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন সৌদি আরব সফরের পরিকল্পনা করছেন, ঠিক তখনই খুন হওয়া এই সৌদি সাংবাদিককে বিস্মৃত হতে না দেয়ার জন্য তার নামে রাস্তার নামকরণ করা হলো বলে জানায় ওয়াশিংটনের স্থানীয় সরকার। ওয়াশিংটন ডিসিতে সৌদি আরবের দূতাবাসের সামনের নিউ হ্যাম্পশায়ার অ্যাভিনিউ সড়কটির নতুন নাম দেয়া হয়েছে ‘জামাল খাশুগজি ওয়ে’।
রাস্তার নতুন নামফলক উন্মোচনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মীরাসহ মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা। এ সময় খাশুগজির প্রতিষ্ঠা করা মানবাধিকার গোষ্ঠী ‘ডেমোক্র্যাসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ’ (ডিএডব্লিউএন) এর নির্বাহী পরিচালক সারাহ লি উইটসন বলেন, আমরা সেইসব মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যারা দরজার আড়ালে লুকিয়ে থাকেন। আমরা তাদেরকে প্রতিদিন, প্রতি ঘণ্টায়, প্রতিমূহূর্তে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
আর সেই স্মৃতিস্মারকই হচ্ছে, এই জামাল খাশুগজি ওয়ে।
সৌদি আরবের বর্তমান শাসকের সমালোচনায় সোচ্চার ছিলেন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশুগজি। যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্টও ছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা অবস্থায় খাশুগজি তার তুর্কি বাগদত্তাকে বিয়ের জন্য নথি আনতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন।
সেখানে তিনি খুন হওয়ার পর তার লাশ আর পাওয়া যায়নি। তাকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হয়। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী, জামাল খাশুগজি হত্যাকাণ্ডের অনুমতি দিয়েছিলেন যুবরাজ। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন সৌদি আরবের যুবরাজ বিন সালমান। বিন সালমান অস্বীকার করলেও ওই সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাকে বর্জন করেই চলছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় জো বাইডেন খাশুগজি হত্যাকাণ্ডসহ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিলেন। ওই অভিযোগে তিনি সৌদি আরবকে একঘরে করার উদ্যোগ নেয়ারও অঙ্গীকার করেছিলেন।
এখন খাশুগজি হত্যাকাণ্ডে বিন সালমানের ভূমিকার বিষয়টি উপেক্ষা করে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিকঠাক করতে আগামী জুলাইয়ে দেশটি সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। বিন সালমানের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকও করবেন তিনি। তার এই সফরের তীব্র সমালোচনা করছেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মীরা। কিন্তু এখন গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থের দিক বিবেচনা করে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রে ভালোভাবেই পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পেট্রলের দাম কমানোর উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন জো বাইডেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়