আরো ৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

জলে ভাসা সিলেট এক বিচ্ছিন্ন জনপদ : ১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা > আশ্রয়ের খোঁজে অসহায় মানুষ > বন্যার্তদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, যুক্ত হচ্ছে হেলিকপ্টার-ক্রুজ

পরের সংবাদ

ভারতের আসামে প্রবল বন্যা

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের আসাম রাজ্যের প্রধান নদীগুলোয় পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যাকবলিত ২৫ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা অন্তত ১১ লাখে দাঁড়িয়েছে। অবিরাম বৃষ্টিপাতের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত চারজনের। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে এসব খবর।
কর্মকর্তারা জানান, বহু এলাকায় ব্রহ্মপুত্র ও গৌরঙ্গ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নবগঠিত বাজালি জেলা। আসাম রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত জেলাগুলোর ১৯ হাজার ৭৮৩ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এ জেলাগুলোর ১ হাজার ৫১০টি গ্রাম ডুবে গেছে।
এনডিটিভি জানায়, টানা তিন দিন ধরে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে আসামের রাজধানী গোয়াহাটিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পুরো শহরের স্বাভাবিক জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নগরীটির বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলোয় সতর্কতা জারি করে প্রশাসন অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে বাড়ি থেকে বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে ডিহিং নদীর পানির উচ্চতা বাড়ার পর গত বুধবার বাকসা জেলার সুবনখাতা এলাকার একটি সেতু আংশিক ধসে পড়ে। কর্মকর্তারা জানান, নি¤œ আসামের রানগিয়া বিভাগের নালবাড়ি ও ঘোগরাপারের মধ্যবর্তী লাইন ডুবে যাওয়ায় অন্তত ছয়টি ট্রেন যাত্রা বাতিল ও চারটির আংশিক বাতিল করতে হয়। আসামের পাশাপাশি অতি ভারি বৃষ্টিতে প্রতিবেশী মেঘালয় ও অরুণাচলের জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মেঘালয়ে হড়কা বান, বজ্রপাত ও ভূমিধসে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যম।
অবিরাম বৃষ্টিতে মেঘালয়ের সোনাপুরে ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। এর জেরে ব্যাহত হয়ে যায় যান চলাচল। ধসের জেরে

আক্ষরিক অর্থেই মুখ থুবড়ে পড়ে একটি ট্রাক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একটি গাড়িও ওই ধসের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, ছয় নম্বর জাতীয় সড়কের ওই অংশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজে নামে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এই মহাসড়কটি ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম ও মেঘালয়ের কিছু অংশের যোগাযোগের একমাত্র উপায়। গত বুধবার আসাম ও মেঘালয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৭২ মিলিমিটার বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এই দুই রাজ্যে জারি করা রেড অ্যালার্টের সময়সীমা আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়