আরো ৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

জলে ভাসা সিলেট এক বিচ্ছিন্ন জনপদ : ১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা > আশ্রয়ের খোঁজে অসহায় মানুষ > বন্যার্তদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, যুক্ত হচ্ছে হেলিকপ্টার-ক্রুজ

পরের সংবাদ

বাঁশখালী : সংখ্যালঘুর বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : বাঁশখালীর কালীপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার অজুহাতে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে, চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং প্রতিবেশী লোকজন হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে মানববন্ধন করেছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কালীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে জঙ্গল গুণাগরীতে এ হামলা, লুট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য দেবেন্দ্র নাথের ছেলে নারায়ণ দেবনাথ ও সুবল দেবনাথ অভিযোগ করে জানান, সকাল ১০টার দিকে ১৫-২০ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল এই হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। বাড়ির পাশে দিয়ে কিছু ব্যক্তির চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ রাস্তার বিরোধটি আগে চেয়ারম্যান এবং প্রশাসনের মধ্যস্থতায় মীমাংসা হয়। গত ১৫ জুন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে মিছিল সমাবেশ করায় এবং নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষুব্ধ। এরই জের ধরে টিনের চালার বসতবাড়িটি কিরিচ, লোহার রড, দা, খুন্তি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় এবং ঘরে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী নারায়ণ দেবনাথের স্ত্রী সঞ্চিতা দেবনাথ বলেন, মালামালসহ লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিতে গেলে আমার ওপর নির্যাতন করে। তারা ছেলের এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র, খাবারের পাতিল, অন্যান্য মালামাল এমনকি চাল পর্যন্ত লুট করে নিয়ে গেছে। আবু ছালেক, মাসুদ, তালেবসহ ১০-১২ জন এ হামলা ও লুটপাট চালায়। আমরা এর বিচার চাই।
এ ঘটনার প্রতিবাদের ওই দিনই বিকাল ৫টার দিকে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধন করেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বক্তব্য রাখেন- ক্ষতিগ্রস্ত নারায়ণ দেবনাথ, তার স্ত্রী সঞ্চিতা দেবনাথ, বৌদি নিপুরা দেবনাথ, ডা. আশীষ কুমার সুশীল, শিবশংকর দাশ, অমৃত কারণ, সাংবাদিক কল্যাণ বড়–য়া মুক্তা প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলাকারী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন বলে মানববন্ধনে ঘোষণা দেন। পরে মিছিল সহকারে বাঁশখালী থানা অভিমুখে রওনা দেন।
কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ ন ম শাহাদাত আলম বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এ ঘটনা কোনো অবস্থায়ই কাম্য ছিল না। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
বাঁশখালী গুণাগরী রামদাস মুন্সীর হাট তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. সোলাইমান বলেন, রাস্তার চলাচলের জায়গা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। সকালে ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে আমি ছুটে গেছি। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ পাওয়ার পর আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে। এছাড়া জড়িত আসামিদের নজরে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়