আরো ৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

জলে ভাসা সিলেট এক বিচ্ছিন্ন জনপদ : ১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা > আশ্রয়ের খোঁজে অসহায় মানুষ > বন্যার্তদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, যুক্ত হচ্ছে হেলিকপ্টার-ক্রুজ

পরের সংবাদ

চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত : নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ৪ > মহিপুর

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:২২ পূর্বাহ্ণ

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : মহিপুর থানাধীন লতাচাপলী ইউনিয়নে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলায় বিজয়ী প্রার্থীর ৩ কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় লতাচাপলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আ. জলিল ঘরামীর ভাতিজা শাওনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে নাইউরীপাড়া গ্রামের এমাদুল শরীফকে (৪৫) পিটিয়ে আহত এবং সোবাহান মাঝিকে (৫৫) মারধরের পাশাপাশি তার দাড়ি ধরে টানাহিঁচড়া করার অভিযোগ উঠেছে। আগতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মৎস্য বন্দর আলীপুর বাজারের ব্যবসায়ী কবির মোল্লাকে (৫০) ছুরি মেরে গুরুতর যখম ও পিটিয়ে হাঁটুর হাড় ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা সবাই বিজয়ী মেম্বার আবুল হোসেন কাজীর সমর্থক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অপরদিকে একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর কুতুব উদ্দিনের কর্মীদের হামলায় বিজয়ী মেম্বার ইসমাইল হোসেনের কর্মী ওয়াদুদ খান (৪৫) আহত হয়েছেন। ২নং ওয়ার্ডের বিজয়ী মেম্বার আবুল হোসেন কাজী বলেন, তার প্রতিদ্ব›দ্বী আ. জলিল ঘরামী নির্বাচনে হেরে কর্মী-সমর্থকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও মারধর করে আসছে। জলিল ঘরামীর ভাতিজা শাওন, কর্মী রাসেলসহ ৫-৭ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশকে অস্ত্রের ছবি সরবরাহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহতদের পরিবার থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহিংসতা করে কেউ পার পাবে না। হামলাকারীদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে মহিপুরের ধুলাসার ইউনিয়নে চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচনে প্রদত্ত (কাস্টিং) ভোটের শতকরা আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচন কমিশন।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন- আ.লীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ১৩৯), ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী উম্মে হাফসা রিপা (প্রাপ্ত ভোট ১৪২), মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইয়াকুব খান (প্রাপ্ত ভোট ৭১৯) এবং বিএনপির সহযোগী সংগঠন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কে এম মেহেদী হাসান প্রিন্স (প্রাপ্ত ভোট ১৩৭০)।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১১৪৯৫, বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২০। যাতে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় বিধি মোতাবেক ১৪৩৬ ভোট প্রয়োজন। এর চেয়ে কমসংখ্যক ভোট পাওয়ায় উল্লিখিত চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানতের ৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত বলে বিবেচিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়