আরো ৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

জলে ভাসা সিলেট এক বিচ্ছিন্ন জনপদ : ১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা > আশ্রয়ের খোঁজে অসহায় মানুষ > বন্যার্তদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, যুক্ত হচ্ছে হেলিকপ্টার-ক্রুজ

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধসের শঙ্কা

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বন্দর নগরীতে টানা বৃষ্টিপাতে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বর্ষণ শুরু হলে নগরীর বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হতে থাকে।
আগামী ৩-৪ দিন পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কোথাও কোথাও অতিবর্ষণেরও সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। প্রাণহানি রোধে করণীয় নির্ধারণে এই প্রতিবেদন তৈরির সময় (সন্ধ্যা ৭টা) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সভা চলছিল। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারী

মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার প্লাবন কুমার বিশ্বাস।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ ও পূর্বাভাস কর্মকর্তা শেখ হারুন অর রশীদ বলেন, চলমান বৃষ্টিপাত আরো ৩-৪ দিন অব্যাহত থাকবে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণেই এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বর্ষাজুড়েই এমন আবহাওয়া থাকবে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বাতাসের গতিবেগ ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার হতে পারে। সেই সঙ্গে অধিকাংশ জায়গায় দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও অতি ভারি বর্ষণও হতে পারে।
এদিকে শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় সরজমিন দেখা যায়, বাকলিয়া, ২নং গেট, মুরাদপুর, ইপিজেড, সল্টগোলা ক্রসিং, বেপারিপাড়া, আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ রোডসহ অনেক এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বেড়েছে যানজট। নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলায় পানি উঠে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন রোগী, স্বজন, চিকিৎসকরা। নগরবাসীর অভিযোগ, মেগা প্রকল্পের ধীরগতি ও নানা অসঙ্গতির কারণে বছরের পর বছর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এই মেগা প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি। অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের মূল সড়কে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শহরে কাগজ-কলমে ৬৩টি খালের উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে অনেক খালের অস্তিত্বই নেই। দখলে-দূষণে রীতিমতো কমছে গভীরতা, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ। বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানি যাওয়ার প্রধান পথই ছিল এসব খাল। সরকারি তথ্যমতে, একসময় নগরীর এসব খালের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এখন তা কমে ৩ থেকে ৫ কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রস্থ ২০ মিটার থেকে কমে হয়েছে মাত্র ১০ থেকে ১২ ফুট।
নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, নগরীর ড্রেনেজ সিস্টেমে গলদ রয়েছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ সিস্টেমই বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে থাকার অন্যতম প্রধান কারণ। সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে যে প্রকল্প নেয়া হয়েছিল, সেই প্রকল্পের কাজ এখনো ৩০-৪০ ভাগ শেষ হয়নি। বছরের পর বছর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের অসচেতনতা ও যত্রতত্র প্লাস্টিকের বর্জ্য বা ময়লা ফেলার কারণে ড্রেন জ্যাম হয়ে থাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়